জেলার বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় গজিয়ে উঠেছে এ ধরনেরই প্রতারণা চক্রের জাল। প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর হরিয়ানার বাসিন্দা নরেশ কুমার এনএস সিবিআই থানায় এসে জানান তার ছেলে রাহুল কুমার অগাস্ট মাসের ২৮ তারিখ থেকে নিখোঁজ। তিনি শেষ কলকাতায় এসেছিলেন। এরপরে বিধাননগর এনএস সিবিআই থানার পুলিশের কাছে সেপ্টেম্বর মাসে ইমেল মারফত অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ।
advertisement
ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে, দমদম ও এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে সুরেশ সিনহা, রাকেশ প্রসাদ সিনহা, ধীরাজ দাসকে গ্রেফতার করে। তাদের জেরা করে পুলিশ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে মোট ১৮ জনকে উদ্ধার করে। পুলিশের দাবি, এদের পরিবারের থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে, তাদের আমেরিকা নিয়ে যাওয়া হবে বলে কলকাতায় নিয়ে আসে এই চক্রের প্রতারকেরা। এরপরে এদের আটকে রেখে এদের পরিবারের থেকে টাকা আদায় করে।
রাহুলের ক্ষেত্রে তার পরিবারের থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা দাবি করে। এরমধ্যে রাহুলের বাবা ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েও দেন। কিন্তু তারা জানতে পারেন, শেষ অব্দি যোগাযোগ হওয়া পর্যন্ত তাদের ছেলে কলকাতায় রয়েছে। রাহুল সহ ১৮ জনকে ইকোপার্ক থানার অন্তর্গত ইকো আরবান ভিলেজের বাসিন্দা ডাঃ গৌর চন্দ্র বিশ্বাস এর বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল এবং তাদের ভয় দেখিয়ে আমেরিকার নম্বর ব্যবহার করে তাদের বাড়িতে ফোন করে বলানো হত তাদের ছেলে ভাল আছে।এটি একটি বড়সড়ো আন্তর্জাতিক কিডনাপিং র্যাকেট, এমনটাই দাবি বিধাননগর কমিশনারেটের।
এই র্যাকেটের বাকি সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মূলত বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন রাজ্য থেকে যুবকদের যোগাযোগ করা হয়। পানিপথ এবং দিল্লিতে এজেন্সি খুলে বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে এই কিডনাপিং চক্র চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই চক্রের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। বাকিদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে বিধাননগর পুলিশের পক্ষ থেকে।
(রুদ্র নারায়ণ রায়)