দত্তপুকুরের মোচপোলে বিস্ফোরণের পর ব্যাপক হারে নিষিদ্ধ শব্দবাজির বিরুদ্ধে অভিযান চালায় বারাসত জেলা পুলিস। বিভিন্ন এলাকায় গোডাউনে হানা দিয়ে কয়েকশো টন নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার করে পুলিস। এরপর সাধারণ মানুষের ধারণা ছিল, এবার হয়তো শব্দবাজির দাপট কিছুটা কমবে। কিন্তু প্রতিবছরের মতো এবারও নিষিদ্ধ শব্দবাজির দাপটে জেরবার সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: নষ্ট ডিম খাচ্ছেন না তো…? ‘ভাল’-‘খারাপ’ চিনবেন কী করে? জানুন দুর্দান্ত সহজ ৪ উপায়!
advertisement
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর সন্ধ্যা থেকেই হাবড়া ও অশোকনগরের বিভিন্ন এলাকায় ফাটল ব্যাপক পরিমাণে নিষিদ্ধ শব্দবাজি। সেই অর্থে পুলিশি হস্তক্ষেপ নজরে আসেনি দাবি এলাকার মানুষের। প্রতিবছর নিয়ম করে লক্ষ্মীপুজোর সময় শব্দবাজির দাপট দেখা যায় হাবড়া ও অশোকনগরে। এবারও সেই ধারা অব্যাহত রইল।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে ‘এতগুলো’ দিন স্কুল-কলেজ বন্ধ…? কবে কবে ছুটি? দেখুন তারিখ-সহ পূর্ণাঙ্গ তালিকা
এত কিছুর পরও মানুষ আশঙ্কা করেছিল শব্দবাজি নাজেহাল করবে। আর সেই আশঙ্কা সত্যি হল এদিন। পরিবেশ কর্মী ও পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সম্পাদক মন্ডলী সদস্য প্রদ্যুৎ কর্মকার বলেন, আমরা নিজেরাই বিপদ ডেকে আনছি বাজি ফাটিয়ে। ব্যাপক পরিমাণে শব্দবাজি ফাটানোর ফলে চারপাশে অ্যাজমা সহ শ্বাসকষ্টের রোগীর সংখ্যা বাড়ছে ক্রমাগত। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া না মিললেও, বারাসত পুলিস জেলার পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, বিষয়টি নজরে আসেনি, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
তবে এখন প্রশ্ন সামনেই কালীপুজো, লক্ষ্মী পুজোতেই যদি এ হেন শব্দ দানবের অত্যাচার সহ্য করতে হয়, তবে কালীপুজোয় আরও খুল্লামখুল্লা শব্দ বাজির তাণ্ডব সহ্য করতে হবে এলাকাবাসীদের। এখন সেই আশঙ্কাই গ্রাস করছে এলাকার প্রবীণ ও বয়স্ক মানুষদের।
রুদ্র নারায়ণ রায়