আরও পড়ুন: ‘আমার ক্যানসার হয়েছে’, ভুয়ো বার্তা ছড়ানোর পরই রহস্যমৃত্যু! দেহ মিলল ৩৩ বছরের জনপ্রিয় গায়কের
বারাসত দক্ষিণ পাড়া রোডে ছিল মেয়ের বাড়ি, সেখানেই থাকেন বাবা-মা। মা ঝর্ণা হালদার জানান, মেয়ে প্রজ্ঞাদীপা হালদারের প্রথম ২০১৩ সালে বিয়ে হয়। কিন্তু সেই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর ব্যারাকপুরে সেনা হাসপাতালে কর্মরত কৌশিক সর্বাধিকারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি। মেয়ে প্রজ্ঞাদীপাও একজন চিকিৎসক। বারাসত ব্লক ওয়ান ছোট জাগুলিয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তিনি কর্মরত ছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: মা হলেন দীপিকা, গর্ভপাতের পর প্রি ম্যাচিওর সন্তানের জন্ম, কেমন আছেন অভিনেত্রী
কৌশিকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পর ২০২০ সাল থেকে ব্যারাকপুরেই থাকতেন প্রজ্ঞাদীপা। মা জানান, মেয়ের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল দু’দিন আগে। তারপর থেকে ফোন করলেও মেয়েকে ফোনে পাওয়া যায়নি। অবশেষে এদিন মধ্যরাতে ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে জানানো হয় মেয়ে সেনা হাসপাতালে রয়েছে। পরিবার প্রতিবেশীদের নিয়ে ছুটে যান সকলে। যদিও ততক্ষণে সব শেষ। মা ঝর্ণা দেবী জানান, মেয়ের শরীরে এবং মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে।
মেয়ে যেখানে থাকতেন, সেই বাড়ি ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়ায় ১১ ফুট উচ্চতায় ছাদ। সেখানে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। যা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। মায়ের দাবি, তার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাঁকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী করছেন সামরিক বাহিনীতে কর্মরত কৌশিক সর্বাধিকারীকেই। সমস্ত বিষয়টির তদন্ত শুরু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই পরিস্কার হবে বাকিটা। মা ঝর্ণা দেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় মেয়েকে হারিয়ে মানসিকভাবে সম্পুর্ণ ভেঙে পড়েছে মা ঝর্ণা হালদার। গোটা ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। মৃত্যুর আসল কারণ সামনে আসুক, অভিযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাক চাইছে পরিবার।
Rudra Narayan Roy