প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে আপার প্রাইমারি চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক জনের কাছ থেকে ৫৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিল স্বরূপনগর চারঘাট পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী নিখিল রঞ্জন বিশ্বাস। চাকরি দেওয়ার সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও চাকরি দিতে পারেনি, ফলে চাকরি প্রার্থীরা টাকা চাইতে গেলে টাকা দিতে অস্বীকার করায় অবশেষে প্রধান বাসন্তী বিশ্বাস ও তার স্বামী নিখিল রঞ্জন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সিবিআই দফতরে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মোহাম্মদ মাজহার আলী ও নুরজামান দুই চাকরি প্রার্থী। টাকা নেওয়া সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় পর অবশেষে প্রধানের স্বামী নিখিল রঞ্জন বিশ্বাস সম্পত্তির কিছু অংশ মোহাম্মদ মাজাহারের নামে লিখে দিয়েছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: সুযোগ পেলেই সঙ্গী ফোন ঘাঁটে? তারপর অশান্তি! লুকিয়ে ফেলুন গোপন চ্যাট থেকে সব কিছু!
আরও পড়ুন:
এখনও অনেক টাকা বাকি রয়েছে, সেই টাকা না দিলে আরও সম্পত্তি দখল নেওয়া হবে বলেও জানান চাকরি প্রার্থীরা। চাকরির জন্য টাকা দেওয়া মোহাম্মদ মাজহার আলী ইতিমধ্যেই চারঘাট পঞ্চায়েতের প্রধানের বাড়ি অর্থাৎ নিখিল রঞ্জন বিশ্বাসের বাড়ি যে অংশটুকু লিখে দিয়েছিলেন, আইনি পরামর্শ নিয়ে ক্যামেরা লাগিয়ে রাজমিস্ত্রি দিয়ে ইট গেঁথে দখল নেন। আর এই ঘটনার পর থেকেই চলছে রাজনৈতিক তরজা। চারঘাট অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর বারি সরদার বলেন, নিখিল রঞ্জন বিশ্বাস তৃণমূল দলের কোনো সদস্য নয়, এটা ব্যক্তিগত পারিবারিক বিষয় এই ঘটনা আমরা আশা করিনি, আমরা স্তম্ভিত, দল দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার যে নানা অভিযোগ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উঠেছে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এদিনের জমি দখলের ঘটনা যেন অন্য পথ দেখাচ্ছে বলেই মনে করছেন সমাজ সচেতন মানুষ জন।
Rudra Narayan Roy





