সেই অনুযায়ী তিনি লিংকে ক্লিক করে প্রসিডিওর মেন্টেন করলে বেশ কিছু টাকা সেখান থেকে লাভ করেন। এরপরই তাকে হোয়াটস্যাপ মারফতে এক ব্যক্তি যোগাযোগ করে জানায় তিনি যে টাকা রোজগার করছেন তার থেকে বেশি টাকা রোজগার করতে পারবেন ক্রিপ্টো কারেন্সি মারফতে। তার জন্য তাকে টেলিগ্রামের একটি গ্রুপে যুক্ত হতে হবে। সেই গ্রুপে যুক্ত হওয়ার পর একটা কারেন্সিতে ইনভেস্ট করার জন্য তাকে প্রলোভন দেখানো হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদীর জলে দাঁড়িয়ে মীন ধরেন, সুন্দরবনে অসুখে নাজেহাল মহিলারা
এরপরে তিনি তাদের অ্যাপ মারফত ক্রিপ্ট কারেন্সিতে ইনভেস্ট করতে থাকে। পরবর্তীতে তার টাকা যখন লক্ষাধিক টাকার পৌঁছে যায় তিনি সে টাকা উইথড্র করতে গেলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রফিটের টাকার ৪০% টাকা কোম্পানিকে দিতে হবে। তিনি সেই ভাবেই টাকা প্রদান করেন তবে তিনি তার টাকা তুলতে পারেন না। অভিযোগকারী ব্যক্তি প্রতারকদের হাতে মোট ১৭ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা তুলে দেয়।
প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার দারস্থহন তিনি। ঘটনা তথ্য শুরু করে পুলিশ জানতে পারে একটি চক্র এই ধরনের প্রতারণার ফাঁদ পেতে বিভিন্ন লোকের থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এই ঘটনায় বিহারের চন্দন পুরা গ্রামের বাসিন্দা শ্যামানন্দ কুমারকে গ্রেফতার করে বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তার কাছ থেকে একটি আধার কার্ড একটি প্যান কার্ড দুটি ব্যাংক এটিএম কার্ড এবং পাসবুক এবং মোবাইল হ্যান্ডসেট উদ্ধার করেছে বিধান নগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হয়। এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত আছে সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
অনুপ চক্রবর্তী