বিশ্ব লালন অ্যাকাডেমির বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার সদস্য সেলিম হককে সংবর্ধনের মধ্য দিয়ে ১৮ তম লালন মেলা শুরু হয়। এই মেলায় দাবি ওঠে, দুই বাংলার বাউল শিল্পীদের নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চ তৈরি করা হোক, যেখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির লক্ষ্যে সমাজ সংস্কারের ডাক দেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: মোগলমারীর বৌদ্ধ মিউজিয়াম ঘিরে স্বপ্ন দেখছে দাঁতন
advertisement
উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার খাস বলন্দা পঞ্চায়েতের বাসাবাটি লালন মেলা প্রাঙ্গণে বাউল ফকিরদের নিয়ে এই মেলা শুরু হয়েছে। এপার বাংলা, ওপার বাংলার বহু নামি বাউল শিল্পী এই মেলায় যোগ দিয়েছেন। এই মেলা সব সম্প্রদায়ের বাউল ফকিরদের নিয়ে চলছে। এই মেলাকে ঘিরে হড়োয়ায় প্রাচীন সংস্কৃতির এক মেলবন্ধন তৈরি হয়। দুই বাংলার বাউল শিল্পীদের বিভিন্ন কাঠের তৈরি শিল্পকলা এখানে তুলে ধরা হয়। বাউল মেলার মূল মঞ্চে লালন গবেষণা কেন্দ্রের সদস্য সেলিম সাহেব বলেন, সারা বিশ্ব থেকে বহু গবেষক বাংলাদেশের কুষ্টিয়া আসছেন। দুশো বছর আগে লালন ফকিরের চিন্তাভাবনা কীভাবে সব সম্প্রদায়কে নিয়ে সমাজ সচেতনতার ডাক দিয়েছিল তা সকলে প্রত্যক্ষ করতে চায়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য সঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাব দুই বাংলার বাউল শিল্পীদের নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চ তৈরি হোক, যেখানে কোনও হানাহানি থাকবে না, বৈষম্য থাকবে না। সব সম্প্রদায় মানুষ একত্রিত হয়ে এই কাজ করবে।
জুলফিকার মোল্লা