আর এই বসিরহাটের গামছার নামডাক ছড়িয়ে পড়েছিল দেশজুড়ে। বসিরহাটের সীমান্তবর্তী পানিতর, ভ্যাবলা, পিফা গ্রামের শিল্পীদের হাতে তৈরি গামছা দেশ-বিদেশেও যেত।বসিরহাটের সেই শিল্প আজ অস্তাচলে। বসিরহাটের ভ্যাবলা আমতলা এলাকায় আগে এক সময় প্রায় শতাধিক তাঁতশিল্পী হস্তচালিত তাঁত চালাতেন। কিন্তু তাঁত শিল্পে গামছা তৈরিতে সব জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের মত আর উপার্জন হয় না কিন্তু তবুও কাজ করে যেতে হয় পেটের টানে।
advertisement
আগে এক সময় তাঁত শিল্প হাতে চালানো হতো কিন্তু বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিদ্যুতের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে চলে এসেছে। আর্থিক সংকটে তবুও প্রায় ৪০ বছর ধরে হস্তচালিত তাঁত বুনে চলেছেন বসিরহাটের ভ্যাবলার তাঁত শিল্পী পরিমল নাথ। যদিও বসিরহাটের ঐতিহ্যবাহী গামছা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার প্রচেষ্টা বসিরহাট প্লিজ ইন হারমনি সোসাইটির।
আরও পড়ুন: Howrah News: দক্ষিণেশ্বরের নবরত্ন মন্দিরের আদলে হাওড়ায় নির্মিত কালী মন্দির
তাঁত শিল্পীদের কাছ থেকে গামছা কিনে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছেন। এ বিষয়ের সংস্থার কর্ণধর প্রদীপ নাথ বলেন, \"বসিরহাটের গামছার একটা ঐতিহ্য আছে। বসিরহাটের এই তাঁত শিল্প বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাঁতিদের থেকে গামছা কিনে আমরা বিক্রি করে সেই অর্থশিল্পীদের হাতেই তুলে দিচ্ছি।\"
আরও পড়ুন: South Dinajpur News: এক জমিতেই হরেক ফসল! অভিনব পদ্ধতিতে চাষ "সাথী ফসল"
বসিরহাটে দিনভর মাকুর খুটখাট শব্দ আর তেমন দেখা মিলছেনা। গামছা বেঁচে গাড়ি-বাড়ি না করতে পারলেও মোটা ভাত-কাপড়ের অভাব ছিল না প্রায় চারশো পরিবারের। সব মিলিয়ে যত দিন যাচ্ছে বিজ্ঞানের সাথে তাল মিলিয়ে সামাজিক শ্রীবৃদ্ধি হল পকেটের টান পড়েছে বসিরহাটেরতাঁত শিল্পীদের।
জুলফিকার মোল্যা