কলকাতা বিমানবন্দরে মণিপুর থেকে বহু বাঙালি ও মণিপুরীদের ফিরতে দেখা গেল। কলকাতা বিমানবন্দরে ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে বিশেষ হেল্প ডেস্ক। যাতে মণিপুর থেকে ফেরত আসা মানুষদের কোনওরকম অসুবিধা না হয় তার জন্য। সংঘর্ষ ও হানাহানির মধ্যে থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে কোনও ক্রমে বেঁচে ফিরে আসা মানুষদের চোখে মুখে স্পষ্ট আতঙ্কের ছাপ। আতঙ্কের রেশ না কাটার কারণে, সংবাদ মাধ্যমের সামনে কথা বলতেও চাইছেন না বেশিরভাগ মানুষই।
advertisement
প্রসঙ্গত, মণিপুরে সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও বেশ কিছু জায়গায় এখনও অশান্ত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ কিছু জেলায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ করা হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। বিভিন্ন হাসপাতালে আহত ও নিহতদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চিকিৎসার জন্য বলে জানালেন মণিপুর থেকে ফিরতি এক যাত্রী। তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট কত প্রাণহানি হয়েছে তা এখনও সঠিক জানা যায়নি। সরকারি একটি সূত্রে খবর, মণিপুরে ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষ ও অশান্তিতে ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কয়েক শতাধিক মানুষ। মৃত্যু সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে মণিপুর থেকে ফিরতি যাত্রীদের তরফ থেকে।
মণিপুর থেকে আসা এক যাত্রী জানালেন, সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওকরাম ইবোবি দুজনেই সর্বদল বৈঠক করে রাজ্যে শান্তি ও আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে একযোগে সংঘর্ষ রুখতে আহ্বান জানিয়েছেন। মণিপুরের সাধারণ মানুষের কাছেও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার আর্জি জানানো হচ্ছে। মণিপুরের পরিস্থিতি সামাল দিতে বর্তমানে ১৪ কোম্পানি সেনা মোতায়েন রয়েছে। কেন্দ্রের তরফে আরও ২০ কোম্পানি সেনা পাঠানো হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে মায়ানমার সীমান্তেও। সব মিলিয়ে মনিপুরের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে আসছেন বহু মানুষ।