কাঁকিনাড়ার বলাকা নাট্য সংস্থার হাত ধরেই তাঁর এই জগতে আসা। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের এই পুরষ্কারে খুশি তাঁর সহকর্মী থেকে শুরু করে শুভাকাঙ্খীরা। সুলতান পদমসি পুরষ্কার দেওয়া হয় সারা বিশ্বে ভারতীয় বা ভারতীয় বংশোদ্ভুত নাট্যকারকে। ইংরেজিতে লেখা নাটকের পাণ্ডুলিপির বিচারে শ্রেষ্ঠ লেখককেই এই পুরষ্কার দেওয়া হয়। টাটা লিটরেচার গ্রুপ এবং বম্বে থিয়েটার যৌথভাবে এই পুরষ্কার দেয়। ১৯৬৬ সাল থেকে এই পুরষ্কার দেওয়া হলেও মাঝে কয়েক বছর তা বন্ধ ছিল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ইলেকট্রিকের তারে জ্বলে উঠছে আগুন! আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা
২০১৬ সাল থেকে আবার শুরু হয় এই পুরষ্কার প্রদান। এবারে ভরতীয় চারজনকে এই সুলতান পদমসি পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে। মুম্বইয়ে শংসাপত্র ও চেক তুলে দেওয়া হয় সৌমেন পালের হাতে। স্কুলের এত কাজের মাঝে কী করে লেখেন তিনি নাটকের স্ক্রিপ্ট? প্রশ্নের উত্তরে এই প্রধান শিক্ষক জানান, নাটক তাঁর প্রাণের জায়গা। তাই তিনি ব্যস্ততা থাকলেও চালিয়ে যান এই নাটক লেখার কাজ। তাঁর লেখা ‘দ্য এপিসেন্টার’ নাটকের মূল পটভূমি হল কিছু মিথকে ভাঙা, যা বারবার লেখা হয়েছে মহাভারতে।
আরও পড়ুনঃ ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারি চুরি হওয়ায় বন্ধ পৌর পরিষেবা!
এই নাটকের মধ্যে রয়েছে এক নিগূঢ় রাজনীতি যাকে জড়িয়ে আছে মহাভারতের নানা চরিত্র। মহাভারতের আদি পর্ব নিয়েই লেখা তাঁর এই নাটক। ওটিটি, ওয়েব সিরিজের যুগে একে একে নিভিছে দেউটির মতো ক্রমশ হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলার থিয়েটার। এ প্রশ্ন বারবার উঠলেও বাঙালি যে এখনও ভোলেনি তার নাট্যশিল্পকে, থিয়েটারকে সৌমেনবাবুর এই পুরষ্কার আরও একবার তা প্রমাণ করল।
পূর্ণেন্দু মণ্ডল