জানা গিয়েছে, সুপ্রিয়-র মা নিজে হাতে আনন্দনাড়ু তৈরি করে, ছেলে ও পাঞ্জাবি জামাই অভয় ডাঙ্গের মঙ্গল কামনায় সামিল হয়েছেন। দুই পুরুষের বিয়ে খাতায়-কলমে মানে না এই দেশের আইন। তাতে কী, নিজের পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে পেরে, সমাজকে নতুন বার্তা এই যুগলের।
পেশায় হোটেল ম্যানেজমেন্টের শিক্ষক সদ্য বিবাহিত সুপ্রিয় চক্রবর্তী। তার স্বামী অভয় অবশ্য আইটি পেশাদার৷ তাদের দুজনেরই বক্তব্য একই। তারা জানিয়েছেন, "সমাজকে কোনো বার্তা দিতে নয়, আমাদের ন'বছরের মেলামেশা, ভালবাসার একটা উদযাপনের জন্য বিয়েটা দরকার ছিল"। চিরাচরিত বিয়ের প্রথা মেনে তেলেঙ্গানায় বিয়ে সারলেন দুজনেই৷ নব যুগল দুজনেই বিয়ের মেহেন্দি ও হলদি আচার অনুষ্ঠান মেনেছেন। আবার গির্জায় গিয়ে বিয়ের কায়দায় দু'জনেই শপথ বাক্যও পাঠ করেন। পাশাপাশি হয় আংটি বদলও।
advertisement
অশোকনগরের ছেলে সুপ্রিয় চক্রবর্তী হায়দ্রাবাদে অপর পুরুষকে বিয়ে করেছে, খবরটি জানতে পেরে সুপ্রিয়র স্কুল জীবনের শিক্ষকরা তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। এই দেশে, ৩৭৭ ধারায় সমকামীদের যৌনতা অপরাধের তকমা দেওয়ার অপচেষ্টা ২০১৮ সালে বন্ধ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। সমকামী, রূপান্তরকামী, তৃতীয় লিঙ্গ নির্বিশেষে তাদেরও আর পাঁচজন নাগরিকের মত সমান অধিকারের কথা ও নানা রায় বার বার বলেছে উচ্চ আদালত। তেলেঙ্গানায় নব বিবাহিত এই জুটি, মনে সাহস যোগাচ্ছে বহু সমকামীদের। সমাজের লোক চক্ষুর চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করে নিজেদের মতো করে বিয়ের পর্ব সেরেছেন সুপ্রিয়- অভয় জুটি। অনেক সমকামী যুগল লোকলজ্জার ভয়ে চুপিচুপি থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। অশোকনগরের সুপ্রিয় ও হায়দ্রাবাদের অভয় দু'জনে বিয়ের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই, তাদেরকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সমকামী থেকে শুরু করে বহু উদার মনের ব্যক্তিত্বরা।
Ratul Banerjee