দিন হোক বা রাত, যে কোনও সময়ই এই সেতু দিয়ে যেতে গেল দুর্ঘটনা ঘটছে। এদিকে দিনের পর দিন সেতুতে আলো না জ্বলায় রাত বাড়লেই শুরু হয় দুষ্কৃতীদের আনাগোনা। এমনই বেহাল দশা হাসনাবাদ ও হিঙ্গলগঞ্জের মধ্যে অবস্থিত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই সেতুটির।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন বাঁচাতে জৈব চাষে জোর
advertisement
বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এই সেতুটি ২০০০ সালে উদ্বোধন করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। হাসনাবাদের বরুণহাট এবং হিঙ্গলগঞ্জের গৌড়েশ্বর নদীর উপর অবস্থিত এই সেতু। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন কোনও সংস্কার হয় না গৌড়েশ্বর সেতুর। বর্তমানে সেতুটির দু’ধারের ফুটপাতের স্ল্যাব ভেঙে পড়েছে। এমনকি সেতুর উপরের বিদ্যুৎতের খুঁটিগুলি পর্যন্ত চুরি হয়ে গিয়েছে।
অন্ধকারে এই সেতুর অবস্থা এমন হয় যে এখান দিয়ে চলাচল করতে ভয় পায় সাধারণ মানুষ। অথচ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের কাছে এই সেতুটির গুরুত্ব অপরিসীম। সামসেরনগর, খুলনা, হিঙ্গলগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে দ্রুত বসিরহাট ও কলকাতায় পৌঁছনাের জন্য এটাই প্রধান পথ। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত সেতুটি সংস্কারের দাবি তুলেছে এলাকার মানুষ।
জুলফিকার মোল্লা