এক্ষেত্রে মূলত সিনিয়র সিটিজেনদেরই টার্গেট করছে প্রতারকরা। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা গ্রেপ্তার করেছে পাঁচ মহিলা-সহ মোট ৪১ জনকে। সেক্টর ফাইভের একটি বহুতলের আট তলায় অফিস নিয়ে এই ফেক কল সেন্টার চালানো হচ্ছিল ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়েই সল্টলেক সেক্টর ফাইভের ওই বহুতলে হানা দেয় বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। সেখান থেকেই পাঁচ মহিলা-সহ ওই ৪১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ৪১ টি মোবাইল ফোন, ৫০ টি কম্পিউটার, তিন টি ল্যাপটপ-সহ একাধিক নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ভুয়ো কল সেন্টারের মাধ্যমে ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল ব্যবহার করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আমেরিকা-সহ একাধিক দেশের নাগরিকদের ফোন করা হত। সেখান থেকে বিদেশি নাগরিকদের মূলত বয়স্ক মানুষদের ফোন করে ফ্রি আর্থিক পুরস্কার ও হেলথ স্কিম দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হতো।
advertisement
এর আগে আরও একটি বিদেশী নাগরিকদের প্রতারণা চক্রের হদিস পায় পুলিশ।বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার হাতে গ্রেফতার হয় সাতজন। উদ্ধার ৫৩ হাজার টাকা ক্যাশ, ২৬ টি কম্পিউটার, নটি স্মার্ট ফোন-সহ বেশ কিছু নথি। এই সংস্থা বেলজিয়াম ইউরোপের মানুষদেরকে ব্র্যান্ডেড মাইক্রোসফট এবং ফেক টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করতো।
আরও পড়ুন: আতঙ্ক সঙ্গী করেই পড়াশোনা চলছে ৭০ বছরের স্কুলে
এই সব চক্রের সঙ্গে আরও কাদের যোগ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে বিধাননগর ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। কল সেন্টারের আড়ালে প্রতারণা চক্রের বাড় বাড়ন্ত কমাতে সক্রিয়তা গ্রহণ করেছে সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্ট-সহ পুলিশ প্রশাসন । তবে এধরনের অভিযোগ বারংবার সামনে আসায়, বিষয়টি মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠছে প্রশাসনের। তথ্য প্রযুক্তি কর্মীদের মধ্যেও তৈরি হচ্ছে আতঙ্ক।
Rudra Narayan Roy