বন দফতর সূত্রে খবর, ধৃত শেখ রফিকুল রহমান ও আব্দুল্লাহ মল্লিক দু'জনের কাছেই আলেকজান্ডার প্রজাতির টিয়া সহ বিভিন্ন পাখি পাওয়া গিয়েছে। এই ধরনের বিরল প্রজাতির পাখি বাড়িতে পোষা আইনত নিষিদ্ধ। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে ব্রিডিং করিয়ে বিরল প্রজাতির পাখি বিক্রির অভিযোগও আছে। শুধু তাই নয়, এইসব বিরল প্রজাতির পাখির ভিডিও তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়েও বিক্রি করত বলেও জানা গিয়েছে। নিষিদ্ধ পাখি বিক্রি করার জন্য তারা একটি ইউটিউব চ্যানেলও খুলেছিল বলেই জানে গিয়ে। সেখানে ফোন নম্বর দিয়ে পাখি বিক্রির প্রচার করা হত।
advertisement
আরও পড়ুন: এই মেলায় গান-নাচ বা খাবারের স্টল নেই! বদলে কৃত্রিম হাত-পা, সুগার মাপার যন্ত্র আছে
ধৃত দু'জনের বাড়ি হুগলির হরিপালে। সোশ্যাল মিডিয়ার মারফত তাদের বিষয়ে একটি অভিযোগ আসে বন দফতরের বারাসত রেঞ্জ অফিসে। সেইমত বন দফতর তদন্তে নামে। এক্ষেত্রে বনকর্মীরা একটি চাল চালেন। তাঁরা ক্রেতা সেজে ওই দুই অবৈধ পাখি বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ধৃত শেখ রফিকুল ও আব্দুল্লাহ মল্লিক সেই ফাঁদে পা দিয়ে বনকর্মীদের পাখি কেনার জন্য দক্ষিণেশ্বরে আস্তে বলেন। সেখানেই হাতেনাতে দু'জনকে ধরে ফেলে বন দফতরের কর্মীরা। তাদের কাছ থেকে ৯ টি আলেকজান্ডার টিয়া পাখির বাচ্চা, ৪ টি বড় টিয়া এবং জাভা পাখি উদ্ধার হয়। বাচ্চা সহ মোট ৩০ টি পাখি উদ্ধার করে বন দফতর। এদের সঙ্গে আরও বড় কোনও চক্র যুক্ত থাকতে পারে বলে বন দফতরের অনুমান। হুগলি জেলায় তাদের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
রুদ্রনারায়ণ রায়





