East Medinipur News: এই মেলায় গান-নাচ বা খাবারের স্টল নেই! বদলে কৃত্রিম হাত-পা, সুগার মাপার যন্ত্র আছে
- Published by:Kaustav Bhowmick
- news18 bangla
Last Updated:
শীতের মরসুমে চারিদিকে যখন মেলা-পিকনিকের ঢল নেমেছে, তখন কোলাঘাটে এক অন্যরকম মেলা দেখা গেল। যেখানে এসে আরেকটু ভালোভাবে জীবন কাটানোর রসদ পেলেন বহু মানুষ
#পূর্ব মেদিনীপুর: এখন শীতকাল। মানেই চারিদিকে উৎসব, অনুষ্ঠান, পিকনিক, মেলার সমাহার। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাটেও এই শীতে হয়ে গেল এক মেলা, তবে তা খেলা বা নাচ-গানের নয়। এই মেলার নাম চিকিৎসার মেলা। এখানে কেউ এসে খোয়া যাওয়া হাতে বা পায়ের বদলে পেলেন কৃত্রিম হাত ও পা, আবার কেউ একটু ভালো দেখার জন্য বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের সুযোগ পেলেন। জন্মের সময় কাটা ঠোঁট নিয়ে ভূমিষ্ঠ হওয়া কিশোরের প্লাস্টিক সার্জারিও হল বিনামূল্যে! এই মেলায় ঢাক-বাজনা কম, তবে জীবনের স্পন্দন অনেক বেশি।
এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে কোলাঘাট নতুন বাজার রাধামাধব মন্দির এলাকায় এই চিকিৎসা মেলা আয়োজিত হয়। রাধামাধব মন্দির, জৈন ভবন, গৌরাঙ্গ ঘাট এবং নতুন বাজার হাটের সমগ্র এলাকাজুড়ে বিনামূল্যের চিকিৎসা মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। এছাড়াও এখানে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করার সুযোগ ছিল। পাশাপাশি বিনামূল্যে ইসিজি, ব্লাড পেসার, ব্লাড সুগার, চক্ষু পরীক্ষার মত পরিষেবাও দেওয়া হয়। সবশেষে ছিল স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন।
advertisement
advertisement
৩০ জনের মেডিকেল টিম এবং প্রায় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক এই চিকিৎসা মেলার যাবতীয় কর্মকাণ্ড সম্মেলন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সঙ্কেতের পক্ষ থেকে শুভঙ্কর বোস বলেন, "আমরা সারা বছর নানান সেবামূলক কর্মসূচি নিয়ে থাকি। এই বিনামূল্যে চিকিৎসা মেলাও তার অংশ। আর্ত, মুমুর্ষ, দুঃস্থ, বয়স্কদের জন্য এই মেলার আয়োজন। প্রায় দেড় হাজার মানুষ এখানে এসে বিনামূল্যে নানান জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন।" এই বিপুল আয়োজনে সঙ্কেত সংস্থাকে সাহায্য করে কলকাতার অ্যাসোসিয়েটেড চ্যারিটেবল ট্রাস্ট, কলকাতার এম পি বিড়লা হাসপাতাল এবং বিশিষ্ট সমাজকর্মী বানোয়ারি লাল শর্মা। এই চিকিৎসা মেলার মাধ্যমে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকার চিকিৎসা পরিষেবা বিনামূল্যে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
advertisement
কোলাঘাটের এই বিনামূল্যের চিকিৎসা মেলায় কৃত্রিম অঙ্গ তৈরির জন্য এসেছিলেন পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির মহিম মুর্মু। তিনি সড়ক দূর্ঘটনায় একটি পা হারিয়ে ছিলেন। এখানে তাঁর কৃত্রিম পা তৈরি করে দেওয়া হয়। হাওড়ার থেকে মমতাজ বেগম এসেছিলেন তাঁর জন্ম থেকে ঠোঁট কাটা সন্তানের প্লাস্টিক সার্জারির জন্য। কোলাঘাটেরই ছাতিন্দা গ্রামের নব্বই বছরের প্রফুল্ল বেরা এখানে বিনামূল্যে ফেকো সার্জারির মাধ্যমে চোখের ছানি কাটানো। হুগলির বিরামপুরের মধ্যবয়সি দম্পতি উজ্জ্বল দাস ও মানসি দাস এসে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেন।
advertisement
সৈকত শী
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
January 10, 2023 6:05 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব মেদিনীপুর/
East Medinipur News: এই মেলায় গান-নাচ বা খাবারের স্টল নেই! বদলে কৃত্রিম হাত-পা, সুগার মাপার যন্ত্র আছে
