স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুপ রক্ষিত পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তাঁর কাছে সম্প্রতি একটি ফোন আসে এবং সেই ফোনে বলা হয় 'আমি এএসআই শুভদীপ ঘোষ, বর্ধমান থানার অফিসার বলছি। আপনি চোরাই সোনা কিনেছেন, আপনার বাড়িতে আধ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ যাচ্ছে। আপনাকে তুলে নিয়ে আসা হবে থানায় এবং পরবর্তীতে মারধর করা হবে ও দু-বছরের ওপর জেলে সাজা হবে। আপনার বাঁচার ইচ্ছা থাকলে আমাকে অনলাইনে ১২,৫০০ টাকা পেমেন্ট করুন।'
advertisement
আরও পড়ুনঃ বর্ষবরণের রাত লঞ্চে নদীবক্ষে কাটাতে চান? চলে আসুন এখানে, আমোদ-প্রমোদের দেদার আয়োজন
ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ফোন পাওয়ার পরই রীতিমতো ঘাবড়ে যান তিনি। এমন কোনও কাণ্ডই তিনি করেননি যাতে পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হয়, তারপরও এ ভাবে ফোন আসায় এবং টাকা চাওয়ার ঘটনায় সন্দেহ দানা বাধে। ব্যবসায়ী অনুপ রক্ষিত তখন ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তিকে জানান, আপনি যা ইচ্ছা করতে পারেন আমি কোনও চোরাই সোনা কিনিনি বা এ ধরনের কাজ করি না। তারপরে ফোনের অপর প্রান্তের ব্যক্তি অনুপ রক্ষিতকে আবারও হুমকি দিতে থাকে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে বলে অভিযোগ। এমনকি ১০ মিনিটের মধ্যে তাঁকে বাড়ি থেকে পুলিশ পাঠিয়ে তুলে নিয়ে আসার হুমকি দেওয়া হলেও দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও তার বাড়িতে কোনও পুলিশ আসেনি।
আরও পড়ুনঃ ইংরাজি নববর্ষ কোথায় কাটাবেন কেষ্ট মণ্ডল! জামিন পেয়ে রাতারাতি ঠিকানা বদল অনুব্রতর
এরপরই কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল, তা জানতে রীতিমতো থানার দ্বারস্থ হন ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী? ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন অনুপ রক্ষিতের পরিবার। ইতিমধ্যেই অনুপ রক্ষিত গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশ পরিচয় দিয়ে এ ভাবে টাকা যাওয়ার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকার অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মধ্যেও।
রুদ্র নারায়ন রায়