সিউলি পঞ্চায়েতের কলেজ পল্লির বাসিন্দা প্রাক্তন সেনাকর্মী জন্মেজয় মাহাত। তিনি ১৯৯৯ এর কার্গিলযুদ্ধে পাকিস্তান সেনাদের চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছিলেন। সেই তিনিই মদ্যপানের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বেধড়ক মার খান। একই কারণে মারধর করা হয় ওই প্রাক্তন সেনাকর্মীর দুই ছেলে জগদীশ মাহাত ও সমীরণ মাহাতকে। এই ঘটনায় তাঁরা বেশ ভালোমত আঘাত পেয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: হিমঘরের গ্যাস লিক করে দোলের সন্ধেয় বড় বিপর্যয়
এলাকার এক মদ্যপ যুবকের আচরণের প্রথম প্রতিবাদ করেন জগদীশ ও সমীরণ। সেই সময় ঝামেলা বেশি দূর এগোয়নি। এরপর ওই দুই মদ্যপ বাইরে থেকে সঙ্গী সাথীদের নিয়ে এসে মাহাত বাড়িতে হামলা করে। জগদীশ ও সমীরণ দুই ভাইকে বাইরে বের করে এনে এলোপাথাড়ি লাথি-ঘুসি মারতে থাকে। মারের চোটে কলার বোন ভাঙে জগদীশ মাহাতর। পা ভাঙে ছোটো ভাই সমীরণের। ছেলেরা মার খাচ্ছে দেখে এগিয়ে আসেন প্রাক্তন সেনাকর্মী জন্মেজয়বাবু। তাঁকেও মারধর করা হয়। ঘুষি লাগে চোখে। এরপরই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে চলে যায়। মাহাত পরিবারের অভিযোগ চলে যাওয়ার আগে ওই দুষ্কৃতীরা শাসিয়ে বলে যায়, যেখানে খুশি যান। থানায় গিয়ে আমাদের নামে এফআইআর করুন, নেতাদের কাছে যান। কেউ আমাদের কিচ্ছু করতে পারবেন না।
গুরুতর জখম অবস্থায় জন্মেজয় মাহাত ও তাঁর দুই ছেলেকে ব্যারাকপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। মোহনপুর থানায় গোটা ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে মাহাত পরিবার। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে তারা কাউকে ধরতে পারেনি। সূত্রের খবর, ওই ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।






