মাস পড়লেই মেয়ের বিয়ে। এদিকে বিস্ফোরণে বাড়ির ছাদ ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেওয়াল। এই অবস্থায় মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো টাকা বাড়ি মেরামতে খরচ করতে হচ্ছে। জমানো টাকা খরচ হয়ে যাওয়ায় মেয়ের বিয়ে কীভাবে দেবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না ওই দম্পতি। হামিদ আলি পেশায় কৃষক। নাহার বিবি নিতান্তই সাধারণ গৃহবধূ। মেয়ের বিয়ের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে এমন বিপর্যয়ে কার্যত ভেঙে পড়েছেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন: কুরুশ কাঠির কেরামতি দেখাচ্ছেন বধূ, উলের রাখি-ফুল ভরাচ্ছে মন
উত্তর ২৪ পরগনার বীরা এলাকায় বাড়ি পাত্রের। ২৪ সেপ্টেম্বর নাহার বিবি ও হামিদ আলির ছোট মেয়ের বিয়ে হওয়ার কথা। হবু জামাইয়ের মুদির দোকান আছে। এই পরিস্থিতিতে কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না ওই দম্পতি। নিজেদের কোনও দোষ না থাকা সত্ত্বেও অন্যের অপরাধের যে এতো বড় মাশুল গুনতে হবে তা তাঁদের কল্পনাতেও আসেনি। এদিকে প্রশাসন ক্ষতিপূরণ ঘোষণা না করায় তাঁরা আরও বিপাকে পড়েছেন।
নাহার বিবি চোখের কোনে জল নিয়ে জানালেন, এখন কী হবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। আর্থিকভাবে আমরা এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে, বাড়ি ঠিক করলে মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো সমস্ত টাকাই খরচ হয়ে যাবে। ছোট মেয়ের বিয়ে নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। প্রতিবেশীরা যদিও এই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রয়োজনে গ্রামের সবাই চাঁদা তুলে তাঁদেরকে অর্থসাহায্য করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। তবু দুশ্চিন্তা যাচ্ছে না।
রুদ্রনারায়ণ রায়