আরও পড়ুনঃ ঠাকুর বিসর্জন করতে এসে তলিয়ে যাচ্ছিলেন গঙ্গায়, পুলিশের তৎপরতায় বাঁচলো প্রাণ
কথিত আছে, তিনি স্বপ্নে দেখেন রাতে দেবী দুর্গা বাড়িতে এসেছেন। আর এসে তিনি বলছেন “আমার খিদে পেয়েছে, আমায় খেতে দে।” তখন তিনি বলেন, “আমি তো কায়স্থ। আমি কীভাবে তোমায় খেতে দেব?” এর জবাবে উমা বলেন, “আমি যখন তোকে বলেছি খাবার দিতে, তো দে।” এরপর কালীপ্রসন্ন কোনও কিছু না ভেবেই উমাকে স্বপ্নেই জিজ্ঞাসা করেন “কী খেতে দেব?” মার আদেশ ছিল, “ঘরের কোণায় দুধ ও চাল রাখা রয়েছে। তা ফুটিয়ে পরমান্ন (পায়েস) করে দে।” তারপর কালীপ্রসন্ন ঘোষ দস্তিদার স্নান করে চাল ও দুধ ফুটিয়ে চুরু রান্না করে মাকে নিবেদন করেন। তারপর থেকেই ঘোষ দস্তিদার পরিবারে এই দুর্গাপুজো শুরু। সেই থেকে আজও এপার বাংলায় মধ্যমগ্রামের দিগবেরিয়া গ্রামে চলে আসছে ঘোষ দস্তিদার বাড়ির উমা আরাধনা। এই পুজো আজ ৩২৯ বর্ষে পদার্পণ করেছে। এবার পুজোর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ২৯তম বংশধররা।
advertisement
পরিবারের প্রত্যেকেই কমবেশি কর্মসূত্রে বাইরে থাকলেও, পুজোর কদিন সমস্ত ব্যস্ততা ভুলে প্রত্যেকেই শামিল হন উমা আরাধনায়। মা কে ভোগ হিসেবে নিবেদন করা হয় সরু চালের ভাত, গন্ধরাজ লেবু পাঁচ রকমের ভাজা সহ মুগের ডাল আর থাকে চরু। এই খাবার পরিবেশন করা হয় সোনা, রুপো ও কাঁসার থালায়। তবে দশমীতে মার ভোগের জন্য নবমিতেই রাখা হয় পান্তা ভাত ও কচু শাক, সেই খাওয়ার রীতি আজও চলে আসছে দোস্তিদার বাড়ির পুজোয়। ব্যস্ততা ভুলে পুজোর কদিন সাংসদকেও আনন্দে মেতে উঠতে দেখা যায়।
Rudra Narayan Roy