আলোর এই উৎসবে মোমবাতির চাহিদা কিন্তু থাকেই। গত দু'বছর ধরে করোনা বিধি-নিষেধ থাকায় সেইভাবে মোমবাতি বিক্রি হয়নি। তবে, চলতি বছরে দুর্গাপুজো এবং লক্ষ্মী পুজোতে কিছুটা ব্যবসা হলেও, মোমবাতি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা ভেবেছিলেন কালী পুজোতে তারা রমরমিয়ে ব্যবসা চালাতে পারবেন। কিন্তু কালী পুজোতে একেবারে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বসিরহাটের মোমবাতি শিল্পীরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দুই প্রান্ত থেকে এসেছে জোড়া কালীপ্রতিমা, পুজো শুরু করেন সাধক বামাক্ষ্যাপার প্রধান শিষ্য
কারণ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। ইতিমধ্যে হাওয়া অফিস জানিয়ে দিয়েছে আজ কালী পূজার দিন সিত্রাং এর জেরে ভারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টি সঙ্গে ঝোড়ো হওয়া বইতে পারে বসিরহাট ও সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ফলে মোমবাতির ব্যবহার যে একপ্রকার মানুষ করতেই পারবে না তা বোঝাই যাচ্ছে। ফলে মোমবাতি দোকানে দোকানে থাকলেও তার বিক্রি তেমনভাবে নেই। বসিরহাটের একাধিক জায়গায় রয়েছে মোমবাতি তৈরির কারখানা। ক্ষুদ্র শিল্পের এই কারখানায় মোমবাতি তৈরি করে কোন মতে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করেন মোমবাতি শিল্পীরা।
আরও পড়ুনঃ পুজোর থিমে স্থান পেয়েছে গায়ক নচিকেতার 'পাগলা জগাই'! দেখতে ভিড় জনতার
এখান থেকে এই মোমবাতি চলে যায় সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁ ও হাসনাবাদের মতো সুন্দরবনের একাধিক ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে। কোনমতে পুজোর কাজ সারলেও বাড়ি আলোকিত করার জন্য কোনভাবেই এই দুর্যোগের মধ্যে মোমবাতি ব্যবহার করা সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে দুর্যোগের আশঙ্কায় আলোর উৎসব অনেক অংশেই ফিকে হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Rudra Narayan Roy