আরও পড়ুন: চলছে মহিলাদের মাছ ধরার প্রতিযোগিতা! ভিডিওতে দেখুন
দেগঙ্গার গয়নাপাড়ায় কয়েকশো শিল্পী কাজ করেন। এখানকার প্রবীণ সাজশিল্পী বিকাশ পালের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, প্রতিমার মাথার মুকুট থেকে গলার সাতলহরি হার, জরি, চুমকির সাজে সেজে মর্তে আসা উমাকে সাজিয়ে তুলতে দিনরাত এক করে কাজ করছেন তিনি। কাজ চলছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গা ব্লকের কালিয়ানি, কার্তিকপুর, বিশ্বনাথপুর গ্রামে। সেখানকার বাসিন্দাদের অধিকাংশই সাজশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। বাড়িতে বাড়িতে, ঘরে ঘরে তৈরি হয় বিভিন্ন ডিজাইনের গয়না। ডাকের সাজ, জরি, চুমকি নিয়ে দিনরাত এখন নানান ডিজাইনের গয়না তৈরিতে ব্যস্ত এই শিল্পীরা।
advertisement
এই এলাকার অর্থনীতি অনেকটাই দাঁড়িয়ে আছে এই সাজশিল্পের উপর। বর্তমানে এই সাজের সামগ্রী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি হয় বলেও জানালেন তাঁরা। এবছর থেকে সাজের সামগ্রী পৌঁছে যাচ্ছে বাংলাদেশেও। সমস্ত জিনিসের দাম বাড়ায় লাভের পরিমাণ কমেছে। তবুও শিল্পীরা দিনরাত এক করে সময়ে কাজ শেষ করার জন্য লড়ে চলেছেন। এই কাজের সঙ্গে বাড়ির মহিলারাও যুক্ত। ফাঁকা সময়ে বাড়িতে সাজের সামগ্রী তৈরি করে এই এলাকার মহিলারা নিজেদের হাত খরচা জোগাড় করেন। শিল্পী অরুণ পাল জানান, ডিজাইন করে বাড়িতে বাড়িতে চুমকি সহ প্রয়োজনীয় পণ্য দিয়ে আসা হয়। এরপর শিল্পীরা বাড়িতে বসে ফিনিশিংয়ের কাজ করেন। যদিও কারখানায়ও অনেক মানুষই কাজ করেন। মূলত মহিলারা এখানে কাজের সঙ্গে বেশি জড়িত৷ তবে চাহিদা বাড়লেও লাভের অঙ্ক খুব বেশি বাড়েনি বলেই মত সাজ শিল্পীদের। তবু ভালোবেসে এই শিল্পকে আঁকড়ে ধরেই সংসার চলে জেলার গয়নাপাড়ার বহু মানুষের।
রুদ্রনারায়ণ রায়