হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি পায়ে টানা রিক্সার দেখা মেলে হাবরার স্টেশন রোড চত্বরে। চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুধু টাকার জন্য নয়, প্রযুক্তির যুগে ই রিক্সার দৌরাতের মাঝেও, রীতিমতো ঐতিহ্য ধরে রাখতেই প্রবীণ এই মানুষেরা এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন পায়ে টানা রিক্সা। এই রিক্সা চালানো যথেষ্টই কষ্টসাধ্য। পায়ের পেশী শক্তির বেশ অনেকটাই জোর লাগে চালাতে। দুজন, বা শিশুসহ তিনজনের বেশি যাত্রী বহন করা যায় না এই রিক্সায়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সংস্কারের প্রয়োজনে এক মাস বন্ধ থাকবে গুরুত্বপূর্ণ এই উড়ালপুল
স্টেশন চত্বরের বাইরে করুণ দৃষ্টিতে যাত্রীদের দিকে তাকিয়ে থাকলেও এখন আর আগের মত সাড়া মেলে না। দ্রুতগতির জীবনে আজ যেন সবাই ছুটছে। তাই সময় বাঁচাতে সকলেই ভরসা করছে ই রিক্সার উপর। ফলে যেন কোথাও ম্লান হয়ে গিয়েছে পায়ে টানা রিক্সার আভিজাত্য। আগে যে রিকশায় চড়লে বাবুগিরি ফলানো যেত, এখন সেই রিক্সায় উঠলে রীতিমতো খিল্লি জোটে। তাই অনেকেই এড়িয়ে চলেন এই পায়ে টানা রিক্সা।
আরও পড়ুনঃ পুরনো তালিকায় নাম থাকলেও, আবাস যোজনার নতুন তালিকায় নাম বাদ!
আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় অনেকেই কিনতে পারছেন না এই ই-রিক্সা। তবে বহু প্রবীণ মানুষ এখনও ভরসা রাখেন এই পায়ে টানা রিক্সার উপরই। তাই সারাদিনে দু তিন শ টাকা রোজগার হয় হাবড়া স্টেশনের বাইরে দাঁড়ানো হাতে গোনা এই পায়ে টানা রিকশাচালকদের। আর এভাবেই তারা টিকিয়ে রেখেছেন ঐতিহ্যের এই তিন চাকাকে।
Rudra Narayan Roy