আগামীকাল ধৃতকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হবে। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশনের ডেপুটি সেক্রেটারি ডক্টর পার্থ কর্মকার জানান, আজ পুরুলিয়া জেলার ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। ক্যান্ডিডেট এর নাম দীনবন্ধু পাত্র। বাড়ি বাঁকুড়া জেলার রায়পুর ব্লকের লুরকা গ্রাম। ওখান থেকে ক্যান্ডিডেট এসেছিল। ডিপ্লোমা এলিমেন্টারি ইন সার্টিফিকেট এখানে ভেরিফিকেশন টেবিলে জমা দিয়েছিল। আমাদের যাঁরা অফিসার আছেন, তাঁদের প্রথমেই দেখে মনে হয়েছে সার্টিফিকেটটা ঠিক নয় ফেক।
advertisement
তিনি আরও বলেন, তারপর আমরা পিটিটিআই যে সেকশন আছে, সেখানে সার্টিফিকেটটা দেখানো হয়। দেখা যায় সার্টিফিকেটটাই ফেক। এই পর্যন্ত পাঁচজনকে ধরা হয়েছে। আগে চার জন আর আজকে একজন। আজকে যে সার্টিফিকেট তাতে নাম দেখা যাচ্ছে চিত্তরঞ্জন কলেজ অফ এডুকেশন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার। ক্যান্ডিডেট এর বাড়ি বাঁকুড়া। আজ ইন্টারভিউ চলছে পুরুলিয়া জেলার জন্য। ২০১৭- ২০১৯ শিক্ষাবর্ষের সার্টিফিকেটটা দেখলাম। সার্টিফিকেট যে লোগো টা লাগিয়েছে সেটাও ফেক। যে ফ্রন্টে সার্টিফিকেট হয় সেই ফন্টগুলোও মিলছে না।
তিনি বলেন, মার্কস পেয়েছে ১৪০০ এর মধ্যে ১১৯৮ নম্বর। ফার্স্ট ডিভিশন মার্কস। বিধাননগর ইস্ট থানাকে ইনফর্ম করেছি। এফ আই আর করেছি। তারা নিজেরাই বুঝতে পারছে, কীভাবে পেয়েছে সার্টিফিকেট সেটা জেনে তাদেরই নিজেদের আসা উচিত না। এ ব্যাপারে তদন্ত তো পুলিশ করবে। আমরা পুলিশের উপর ছেড়ে দিয়ে রেখেছি।
আরও পড়ুন, কোথায় ঘূর্ণিঝড় মোকা! তীব্র গরমে পুড়ছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ, রইল আবহাওয়ার আপডেট
আরও পড়ুন, ঘুমের মধ্যে কেঁপে উঠল বাড়ি! কাকভোরে প্রবল ভূমিকম্প, আতঙ্কে রয়েছেন সকলে
ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দফতরে আধিকারিকরাও বিষয়টা গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। তার কারণ যেদিন থেকে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, প্রত্যেক দিনই ভুয়ো পরীক্ষার্থী গ্রেফতার হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
অনুপ চক্রবর্তী






