তবে সমাজে প্রচলিত একটি ধারণা আছে যে ‘চোখ ওঠা’ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির দিকে তাকালে সুস্থ ব্যক্তির চোখও আক্রান্ত হবে৷ কিন্তু বিষয়টি কি আসলেই তাই? চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস কি? এটি কিভাবে ছড়ায়? এই রোগের লক্ষণ কি? এর প্রতিকার কি? এই বিষয়ে পরামর্শ দিলেন বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-৩ ডঃ শ্যামল কুমার বিশ্বাস এবং বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক-২ ডঃঅনুপম ভট্টাচার্য।
advertisement
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রথমে এক চোখে সমস্যা শুরু হয়। পরে অন্য চোখকেও আক্রমণ করে। কারও কনজাঙ্কটিভাইটিস হলেই আমরা ধরে নিই, যেহেতু এই অসুখ ছোঁয়াচে, তাই তার দিকে তাকালেই আমাদেরও তা হবে। এই ধারণা কি ঠিক? এবিষয়ে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই অসুখ ছোঁয়াচে ঠিকই, তবে তখনই হবে, যদি রোগীর চোখের কোনও রকম সংস্পর্শে কেউ আসেন।
আরও পড়ুন: ‘টাকা দ্বিগুণ করে দেব!’ মহিলার কথায় বিশ্বাস করে এখন মাথায় হাত গৃহকর্ত্রীর
যেমন রোগী নিজের চোখে হাত দিয়ে তার পর হয়তো কিছু একটা ধরলেন, সে জিনিস তার পর আপনিও ধরলেন, আর সে হাত চলে গেল চোখে। তখনই এই অসুখ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। কাউকে ছুঁয়ে নিলে কিংবা কারও দিকে তাকালে এই রোগ আপনার হবে না। বাড়িতে কারও কনজাংটিভাইটিস হলে, তাঁর ব্যবহার করা কোনও জিনিসপত্র না ছোঁয়া, তাঁর তোয়ালে, রুমাল, বিছানার চাদর ব্যবহার না করা, তার ঘরে গেলে হাত ভাল করে ধুয়ে তার পরে অন্য কোনও কাজে হাত দেওয়া।
জুলফিকার মোল্যা