অশোকনগর কচুয়া মোড় সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা এই খুদে শিল্পীর পারফরম্যান্সে মন মজেছে নেটপাড়া থেকে এলাকাবাসী সকলেরই। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও ডাক পড়ছে পলকের। বাড়িতে সঙ্গীতচর্চার ধারা ছিল আগে থেকেই। বাবা বিশাল দে (রাজা) বাদ্যযন্ত্র বাজান বহু বছর ধরে। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে লকডাউনের সময় মেয়ে পলক আবদার করেন বাবার কাছে স্যাক্সোফোন শেখার।
মেয়ের সেই আবদার ফেলতে পারেননি মিউজিশিয়ান বিশাল দে। তার পর থেকেই শুরু পালকের স্যাক্সোফোন শেখার ক্লাস। অশোকনগর বাণীপীঠ উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয়ের ক্লাস সিক্সের ছাত্রী পলক। শুরুতে কষ্ট হলেও, এখন এই বাদ্যযন্ত্র অনেকটাই রপ্ত তার। স্যাক্সোফোনে ফুঁ দিয়েই ১২ বছরের পলক অবলীলায় শোনাচ্ছে জনপ্রিয় হিন্দি গান থেকে শুরু করে বাংলা গানের লাইন।
advertisement
আরও পড়ুন : ভাঙনে গঙ্গাপ্রাপ্তি বিদ্যালয়ের, মালদহে একটু একটু করে নদীর গ্রাসে তলিয়ে যাচ্ছে স্কুলবাড়ি
বাবা-ই পলকের শিক্ষাগুরু। এখনও বাবার কাছেই চলছে স্যাক্সোফোন বাজানোর তালিম। জানা যায়, জেলার মধ্যে এখন সর্বকনিষ্ঠ স্যাক্সোফোনের মহিলাশিল্পী একমাত্র পলকই। স্কুলের অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে স্থানীয় এলাকা-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এখন ডাক পড়ে, এই খুদে শিল্পীর। ছোটবেলা থেকেই বাবার অনুষ্ঠান দেখে হাততালি দিতেন দর্শক। সেই থেকে পলাকেরও ইচ্ছে ছিল বাবার মতো স্যাক্সোফোন বাজিয়ে দর্শকদের হাততালি কুড়নোর।
আরও পড়ুন : মহরম উপলক্ষে বাড়তি সময় জল সরবরাহ বর্ধমান পুরসভার
তবে এত ছোট বয়সে এত সুন্দরভাবে যে এই কষ্টসাধ্য স্যাক্সোফোন বাজানো রপ্ত করে ফেলতে পারবে মেয়ে তা ভাবতেও পারেননি পলকের বিশাল। মেয়ের অনুষ্ঠান থাকলে, নিজের অনুষ্ঠান বাদ দিয়েই মেয়ের সঙ্গে যান তিনি। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পলকের ভাইরাল নানা স্যাক্সোফোন প্লে-র ভিডিও নেটিজেনদের প্রশংসা পেয়েছে ।