চাকলা ধামের ৫০ বছর পূর্তি, সেই উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিসেম্বরে আসতে পারেন চাকলা মন্দিরে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। আর তাই মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর নিয়ে এদিন জেলাশাসকের দফতরে হল বিশেষ বৈঠক। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষ, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বারাসাতের সাংসদ ডা. কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বিধায়ক তাপস রায়, বিধায়ক নির্মল ঘোষ। এছাড়াও ছিলেন রাজ্য পূর্ত দফতরের সচিব অন্তর আচার্য, জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী, পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জি, এসডিও সোমা সাউ সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
advertisement
আরও পড়ুন- ‘মা’ হওয়ার পর প্রথমবার সন্তানের মুখ দেখালেন মিষ্টি, একরত্তির আদুরে ছবি ভাইরাল নেটদুনিয়ায়
আরও পড়ুন-পরিণীতির ভাগ্যে কী অপেক্ষা করছে জানেন? বিয়ের পর ভবিষ্যদ্বাণী জানিয়ে দিলেন সেলিব্রিটি জ্যোতিষী
চাকলায় উন্নয়নের কাজে ইতিমধ্যেই প্রায় কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। টাকা বরাদ্দ হতেই বেশ কয়েক মাস ধরে শুরু হয় এই কাজ। তৈরি হচ্ছে ভোগ বিতরণের জন্য ঘর, আধুনিক রান্নাঘর, পুজোর ডালার জন্য আলাদা আলাদা স্টল, শৌচাগার, দুটি তোরণ, ভোগের টিকিট কাউন্টার। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন চাকলা লোকনাথ মন্দির কমিটিও। চাকলা লোকনাথ মন্দিরে ১০ বেডের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ার অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ১৮ টি ঘর নিয়ে অতিথিশালা তৈরির কাজও সম্পন্ন হয়েছে। জেলা প্রশাসন এবং মন্দির কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বরাদ্দ টাকায় তৈরি দুটি গেটের কাজও প্রায় শেষের দিকে। ভোগ বিতরণের জন্য তৈরি ঘরে একসঙ্গে বসে ২ হাজার ভক্ত খাওয়া-দাওয়া করতে পারবেন। আধুনিক রান্নাঘরও তৈরি করা হচ্ছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতে বিঘ্নিত হচ্ছে কাজ, ফলে আরও বেশ কয়েক দিন সময় লাগবে কাজ শেষ হতে।
নভেম্বরেই শেষ হয়ে যাবে সমস্ত কাজ বলেই মনে করছেন জেলার বনমন্ত্রী তথা বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। চাকলার লোকনাথ মন্দিরের সেবায়েত বাবিন হাজরা জানান, ‘চাকলার মন্দিরে ২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর চাকলা গর্ভগৃহ মন্দিরের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করার পরিকল্পনা হয়েছে। সেখানেই আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, ভারত ও বাংলাদেশের ভক্তদের নিয়ে সম্মেলন হবে। এ ধরনের ভক্ত সম্মেলন এই প্রথম হচ্ছে চকলায়। বাংলাদেশ থেকে আসতে পারেন প্রায় শতাধিক প্রতিনিধি। বিশেষ পুজো অর্চনার বন্দোবস্ত করা হবে ওই বিশেষ দিনগুলিতে বলেও তিনি জানান। ‘তার আগে এখন বৃষ্টির প্রকোপ কাটিয়ে সময়ে কাজ শেষ করাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ।
Rudra Narayan Roy