TRENDING:

Chandrayaan 3: চন্দ্র‌যানের গতি নিয়ন্ত্রণ করেছে বাংলার বিজ্ঞানী জয়ন্ত, চাঁদের মাটি ছুঁতেই উৎসব শুরু বাদুড়িয়ায়

Last Updated:

Chandrayaan 3: বেঙ্গালুরু থেকে বসিরহাটের বাদুড়িয়াকে জুড়ে দিল বাঙালি বিজ্ঞানী জয়ন্ত।  উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া একই রকম উচ্ছ্বসিত, গর্বিত তাঁর পরিবার। মূলত চন্দ্রযান-৩ এর গতিবেগ কখন কেমন হবে, তা নিয়ে যাঁরা কাজ করছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন তিনি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বসিরহাট: চন্দ্রযান-৩ এর ল্যান্ডার বিক্রমের সফলভাবে চাঁদে পদার্পণ গোটা দেশের মানুষের পাশাপাশি পরতে পরতে চাক্ষুষ করে নিল গোটা বিশ্ব। আর এরই মধ্যে বেঙ্গালুরু থেকে বসিরহাটের বাদুড়িয়াকে জুড়ে দিল বাঙালি বিজ্ঞানী জয়ন্ত। বিজ্ঞানী জয়ন্ত পাল যখন বেঙ্গালুরুতে ইসরোর দফতরে চন্দ্রযান ৩-এর ঐতিহাসিক যাত্রার শরিক হচ্ছেন, তখন উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া একই রকম উচ্ছ্বসিত, গর্বিত তাঁর পরিবার। চাঁদের দক্ষিণ মেরু ছুঁয়ে গতকাল সন্ধ্যা ছ’টা চার মিনিটে ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিশ্বের প্রথম সফল অভিযান। আনন্দে রাস্তায় নেমে পড়ে সাধারণ মানুষ।
সফল চন্দ্রযান-৩ মিশনের সঙ্গে যুক্ত বাদুড়িয়ার জয়ন্ত 
সফল চন্দ্রযান-৩ মিশনের সঙ্গে যুক্ত বাদুড়িয়ার জয়ন্ত 
advertisement

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৪ জুলাই চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিল ইসরোর চন্দ্রযান-৩। আর দীর্ঘ ৩৯ দিন পর অবশেষে সফলভাবে চাঁদের বুকে পা রাখতে সক্ষম হয়েছে চন্দ্রযান-৩। চাঁদের দক্ষিণ মেরু ছুঁয়ে বুধবার ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত। চন্দ্রযান-৩ এর সফল অবতরণের এই বিশাল কর্মযজ্ঞে আরও অনেক বিজ্ঞানীর মতো যুক্ত ছিলেন বাদুড়িয়ার ভূমিপুত্র জয়ন্ত। বছর একত্রিশের জয়ন্ত ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে (ইসরো) কর্মরত। এ দিন সন্ধ্যায় বাদুড়িয়ার বাড়িতে বসে চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণ দেখতে দেখতে ছেলের জন্য গর্ববোধ করছিলেন জয়ন্তের বাবা অর্ধেন্দু ও মা আলপনা।

advertisement

বাদুড়িয়া থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা জয়ন্ত। আর্থিক সঙ্কট ছিল কিছু বছর আগেও। কষ্ট করে মেয়ে রূপালি ও ছেলেকে পড়াশোনায় উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন আলপনা, অর্ধেন্দু। তবে বাঙালি বিজ্ঞানীর এই পথটা মোটেই সহজ ছিল না।’’

View More

আরও পড়ুন- ‘বেবিবাম্প’ আগলে ঋদ্ধিমা, বিছানায় শুয়ে আদরে ভরালেন গৌরব, হবু মায়ের মিষ্টি মুহূর্ত ভাইরাল

advertisement

আরও পড়ুন-এখনও ক্ষত দগদগে, মারপিট করতে গিয়েই কি আহত রাজ? আসল সত্যি ফাঁস করলেন পরীমণির স্বামী

আলপনা জানান, তাঁদের প্যান্ডেলের ব্যবসা। আর্থিক সমস্যা থাকায় দুই ছেলেমেয়েকে গৃহশিক্ষক দেওয়া সম্ভব হয়নি। তিনিই নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়িয়েছেন। আলপনা মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন। পরে নিজেও স্নাতক হন নিজে। বাঙালি বিজ্ঞানী জয়ন্ত পাল বিজ্ঞান নিয়ে পড়ে ২০১০ সালে তেঁতুলিয়া উচ্চতর হাইস্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৭৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে পাশ করে ছেলে। জয়েন্টে ভাল ফল করলেও অর্থের অভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া হয়নি। এরপর গণিত নিয়ে বারাসাত সরকারি কলেজে ভর্তি হন। পরে খড়্গপুর আইআইটি থেকে এমএসসি করেন। সেখানেই পিএইচডি সদ্য শেষ করেছেন। তার আগেই ২০১৮ সাল থেকে ইসরোয় বিজ্ঞানী হিসাবে কাজ করছেন। মূলত চন্দ্রযান-৩ এর গতিবেগ কখন কেমন হবে, তা নিয়ে যাঁরা কাজ করছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন তিনি।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

জুলফিকার মোল্যা

বাংলা খবর/ খবর/উত্তর ২৪ পরগণা/
Chandrayaan 3: চন্দ্র‌যানের গতি নিয়ন্ত্রণ করেছে বাংলার বিজ্ঞানী জয়ন্ত, চাঁদের মাটি ছুঁতেই উৎসব শুরু বাদুড়িয়ায়
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল