এমনকি দাদুর মৃতদেহ কাঁধে তুলেও চলে নাচ। ১১৯ বছরের বৃদ্ধের মৃত্যুতে তাসা, ডিজে বাজিয়ে শেষকৃত্যে মাতলেন দেড়শ নাতি নাতনি। বর্তমান সময়ে যেখানে মানুষ ষাট বছর পার করতেই হিমশিম খাচ্ছে, কত প্রাণ চলে যাচ্ছে অল্প বয়সে, সেখানে একশো উনিশ বছরে মৃত্যু হল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরা থানার কুমড়া পঞ্চায়েতের মেঠো পাড়া এলাকার দেবেন হাজরার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয় ১১৯ বছর। তিনি ছিলেন আনন্দ প্রিয় মানুষ, আর সেই জন্যই পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা ডিজে গানে নেচে বিদায় জানালেন তাকে।
advertisement
রবিবার হাবড়ার কুমড়ো গ্রাম পঞ্চায়েতের হাজরা পাড়ায় দাদুর শেষকৃত্যে ডিজে গানের সঙ্গে খোল করতালও বাজানো হয়। বাংলার ১৩১০ খ্রিস্টাব্দে জন্ম এই দেবেন হাজরার এবং মৃত্যু হয় ১৪২৯ খ্রিস্টাব্দে। সেই হিসাবে দেখা যায় ১১৯ বছর বয়স হয়েছিল দেবেন হাজরার। সব মিলিয়ে গ্রামে প্রায় ৫০০ পরিবারের দাদু ছিলেন এই দেবেন হাজরা। যার মধ্যে দেড়শ নাতি নাতনি। আর তাদের আবদার মেনেই দাদুর শেষকৃত্যে ডিজে গানের আয়োজন। শোক নয়, এ যেন এক অন্য ছবি ধরা পরলো হাবরার হাজরা পাড়ায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেবেন হাজড়া যাত্রা ভালবাসতেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি যাত্রা শেখাতেন সাধারণ মানুষকে। যে সময় সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না, তখন যাত্রা নিয়েই বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন দেবেন হাজড়া। আর তখন থেকেই যাত্রাগুরু হিসেবে মাস্টারমশাই নামে পরিচিত কুমড়া পঞ্চায়েতের দেবেন হাজরা। এদিন তার মৃত্যুতে দেখা গেল প্রায় এক হাজার মানুষের উপস্থিতি। সকলেই দুহাত তুলে, কোমর দুলিয়ে শেষকৃত্যে ডিজে গানের তালে নাচ করে বিদায় জানালেন ১১৯ বছরের দেবেন হাজরাকে।
(রুদ্র নারায়ণ রায়)