আরও পড়ুন: বেহাল রাস্তায় জর্জরিত চটকল শ্রমিকরা
ভেসেল চালক ও কর্মীদের মারধরের ঘটনায় হিঙ্গলগঞ্জের রায়মঙ্গল নদীতে জলপথ পরিবহণ বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে ভেসেলে চারচাকা গাড়ি তোলাকে কেন্দ্র করে গোটা ঘটনার সূত্রপাত। ভেসেল চালক রুহুল আমিন গাজি সহ ঐ ভেসেলে কর্মরত পরিবহণ দফতরের চার কর্মীকে ব্যাপক মারধর করা হয়। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হন জলপথ পরিবহন দফতরের কর্মীরা। প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে ভেসেল পরিষেবা বন্ধ করে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। যার জেরে রায়মঙ্গল নদীর এক পাড়ে দুলদুলি, কালীতলা, যোগেশগঞ্জ, সাহেবখালি সহ প্রায় সাতটি পঞ্চায়েত ও অন্য পাড়ে স্যান্ডেলেরবিল ও হিঙ্গলগঞ্জ সহ বসিরহাট ও কলকাতা থেকে সুন্দরবনগামী সমস্ত পরিবহণ ও যাতায়াত থমকে যায়।
advertisement
নদী পার হতে না পেরে হাজার হাজার যাত্রীর পাশাপাশি কয়েকশো গাড়ি রায়মঙ্গলের দুই পাড়ে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি সুন্দরবনের বহু পর্যটকও এর ফলে আটকে পড়েন। বিপদের মুখে পড়েন অসুস্থ রোগীরাও। প্রচন্ড গরমে নদীর পাড়ে আটকে পড়ায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদিকে শয়ে শয়ে পণ্যবাহী গাড়ি নদী পার হতে না পেরে দাঁড়িয়ে থাকায় এই প্রচন্ড গরমে শাকসবজি, ফলমূল পচে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও পরিবহণকর্মীরা কোনও কথায় কান দিতে নারাজ। তাঁদের দাবি, যে দুষ্কৃতীরা ভেসেলের কর্মীদের গায়ে হাত তুলেছে আগে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। তারপর পরিষেবা চালু হবে।
জুলফিকার মোল্লা