জেলার প্রশাসনিক বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রী (CM) ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষ নজর দিতে বলেছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে। বিধাননগর পৌরনিগমের এলাকায় বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গুতে। এমনকি মৃত্যুও হয়েছে কয়েকজনের। এ বিষয়ে বিধাননগর পৌরনিগমের (Bidhannagar Municipal Corporation) পক্ষ থেকে আগেই নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। বিধাননগর পৌরনিগমের বেশকিছু ওয়ার্ডে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় তৈরি করা হয়েছে রেপিড অ্যাকশন টিম। সেই টিমে থাকবে ইঞ্জিনিয়ারসহ অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং তিনজন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। তারা দায়িত্বে থাকা ওয়ার্ডের বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক যেমন কোথায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, জঞ্জাল-নর্দমা পরিষ্কার হচ্ছে কিনা এবং মানুষ সমস্ত নিয়ম বিধি মেনে চলছেন কিনা তার তালিকা দেবেন স্বাস্থ্য দপ্তরকে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে দেওয়া হল বিশেষ নজরদারিও।
advertisement
ছাদের ওপর জমা জল খুঁজতে ড্রোন দিয়ে নজরদারি চালালো বিধাননগর পৌর নিগম। পৌর কর্মীরা ছাদের জমা জল সশরীরে খুঁজতে গিয়ে বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হতে হয়। উঠতে দেওয়া হয় না ছাদে। আর সেই কারণেই ড্রোন ব্যবহার। ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বিধাননগর পৌর নিগম এলাকায় খুব একটা কম নয়। আর সেই কারণে বিধাননগর পৌর নিগমের তরফ থেকে কোথাও জমা জল জমে আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে একাধিক বার হয়েছে অভিযান ও প্রচার। দেওয়া হয়েছে মশার তেল, ব্লিচিং পাউডার। কিন্তু বাধা পড়েছে একটি জায়গায়।
সেটি হল বিধাননগরের বিভিন্ন বাড়ি এবং আবাসনের ছাদে জমা জল খোঁজার ক্ষেত্রে। বিধাননগরে বিভিন্ন ব্লকে বাড়ির ছাদে ফুলের টব,পরিত্যক্ত জিনিসপত্রের মধ্যে জমা জল আছে কি না তা খতিয়ে দেখার জন্যে বাড়ির ছাদে উঠতে অনুমতি দেওয়া হয় না পৌর কর্মীদের। আর সেই কারণেই বিধাননগর পৌর নিগমের তরফ থেকে ড্রোন ব্যবহার করা হল এদিন। স্বয়ং বিধাননগর পৌর নিগমের প্রশাসক কৃষ্ণা চক্রবর্তী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করেন এদিন। যাদের বাড়ির ছাদ থেকে জমা জলের চিত্র ধরা পড়ছে তাদের নোটিশ পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি। এর পাশাপাশি সল্টলেকের একে(AK) ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করা হয়। করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়ে তৎপর প্রশাসন। তাই আক্রান্ত যাতে বেড়ে না যায় সে কথা মাথায় রেখেই এমন উদ্যোগ বিধাননগর পৌরনিগমের।