তবে, দোকান মালিকের আসল নাম বিজু। প্রথমে চালুর সময় দোকানের আলাদা নাম থাকলেও, বর্তমানে প্রচার পেয়েছে বাচ্চার বিরিয়ানি নামেই। ভাবছেন কেন এমন অদ্ভুত নাম? আসলে দোকান মালিকের বয়স নিতান্তই কম। আর সেই কারণেই এমন অদ্ভুত নামে জনপ্রিয়তা মিলেছে।
অল্প বয়সে পরিবারের পাশে থাকতে ব্যবসায় নামা। এরপরই, বিরিয়ানির দোকান খোলার চিন্তা মাথায় আসে বিজুর। অল্প বয়সে বিরিয়ানির দোকান চালানো বিজুর কাছে কোন এক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর আসেন ভিডিও করতে। তিনিই নাম দিয়েছিলেন বাচ্চার বিরিয়ানি। সেই থেকেই দোকানের নাম প্রচারিত সকলের কাছে বাচ্চার বিরিয়ানি বলেই পরিচিত।
advertisement
আরও পড়ুন: নতুন পুষ্পা! ফলের ঝুড়ির আড়ালে এসব কী! সিনেমার ঘটনা সত্যি
হাবরা স্টেশনের এই দোকানই এখন সোশ্যাল মিডিয়া এবং বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার যাত্রীদের দৌলতে সকলের চেনা হয়ে উঠেছে। দোকান সামলাতে এখন রীতিমতো ৫- ৬ জন কর্মীও রাখতে হয়েছে বাচ্চাকে। দোকান খুলতেই পড়ে যায় লাইন। এখন দিনে ৭-৮ হাড়ি বিরিয়ানি অনায়াসেই বিক্রি হয়ে যায় মুহূর্তেই।বাচ্চার এই বিরিয়ানির আরও একটি বিশেষত্ব হল কলা পাতায় পরিবেশন করা হয় বিরিয়ানি। তাই প্রতিদিন প্রচুর মানুষের ভিড় জমে এই দোকানে। স্কুল-কলেজের ছাত্র ছাত্রী থেকে নিত্যযাত্রী এমনকি দূরদূরান্ত থেকে ভোজন রসিক মানুষজন বাচ্চার বিরিয়ানির টেস্ট নিতে হাবড়ায় আসছেন।
আরও পড়ুন:
স্টেশনে দোকান হওয়ায় জায়গার সংকুলান থাকায় সামান্য সুবিধার সম্মুখীন হতে হলেও, বিরিয়ানি টেস্ট সেই সকল সমস্যা একপ্রকার মুছে দিচ্ছে। খাচ্ছেন এবং পার্সেল করেও নিয়েও যাচ্ছেন অনেকে। দামেও অনেকটাই কম এই বিরিয়ানি তৈরির ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র নড়চড় করেন না দোকান মালিক বিজু। সকলকে সুষ্ঠুভাবে বিরিয়ানি দিয়ে চলেছেন বাচ্চা নিজেই। মুখে হাসি নিয়েই শীত গ্রীষ্ম বর্ষা ভোজন রসিকদের বিরিয়ানি খাওয়াচ্ছে অল্প বয়সের বিক্রেতা বাচ্চা। ক্রেতারা জানাচ্ছেন, অন্যান্য দোকানগুলিতে বিরিয়ানির যে দাম, তার তুলনায় বাচ্চার বিরিয়ানি অনেকাংশেই সুস্বাদু। তাই দিন দিন ভিড় বাড়ছে বাচ্চার বিরিয়ানির দোকানে। তবে বাচ্চার বিরিয়ানি চেখে দেখতে গেলে আপনাকে পৌঁছতে হবে তাড়াতাড়ি। কারণ রাত আটটা, সাড়ে আটটার মধ্যেই শেষ হয়ে যায় সব হাড়ি। বাচ্চার এই স্পেশাল বিরিয়ানি এখন টক্কর দিচ্ছে হাবরার বড় বড় রেস্তোরাঁ গুলিকেও।
Rudra Narayan Roy