আরও পড়ুন: কলকাতার সিবিআই দফতরে শীর্ষ কর্তারা, বড় কিছু ঘটতে চলেছে? তোলপাড় বাংলা
বিডিও সাহেবের এমন ভূমিকায় স্বভাবতই খুশি গ্রামের সাধারণ মানুষ। তাঁরা বলছেন এ যেন দুয়ারে বিডিও! হাওয়া অফিসের এখনও পর্যন্ত দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় মোকা নিয়ে আমাদের এখানে ভয়ের খুব কিছু নেই। কারণ সম্ভবত বাংলাদেশের কক্সবাজার দিয়ে সেটি মায়ানমারে ঢুকে যাবে। তবু প্রকৃতির খেয়াল বলে কথা। শেষ মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড় যাত্রাপথ পরিবর্তন করলে ভয়ঙ্কর বিপদ দেখা দিতে পারে সুন্দরবন এলাকায়। তাই আগাম সতর্ক রাজ্য সরকার ও প্রশাসন। সেই লক্ষ্যেই সন্দেশখালির প্রত্যন্ত গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে সামনাসামনি বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন বিডিও। তাঁকে সামনে পেয়ে এলাকার মানুষও মন খুলে নিজেদের সমস্যার কথা জানান।
advertisement
উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির গ্রামগুলিতে আমফান ও ইয়াসের দগদগে ক্ষত এখনও ভাল করে শুকোয়নি। তারই মধ্যে ফের একটি ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রুকুটি দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। পাশাপাশি এবার ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে আরও গুছিয়ে আসরে নেমেছে প্রশাসন। সেই লক্ষ্যেই বাঁধের কোনও সমস্যা থাকলে তা দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকার গতিপথ মায়ানমারের দিকে থাকলেও যে কোনও আপতকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই সন্দেশখালি সহ সুন্দরবন এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে পর্যাপ্ত খাবার, পানীয় জল, ওষুধ, ত্রিপল মজুত রাখা হয়েছে।
জুলফিকার মোল্লা