আরও পড়ুন: সর্বভারতীয় নিটে সফল চা বলয়ের মেয়ে
বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্প হল বাউল গান। সেই কবে লালন ফকিরের হাত ধরে তার পথ চলা শুরু। নদীমাতৃক বাংলার মাঠ-ঘাট, জীবনের গল্প উঠে আসে এই গানে। এছাড়াও টুসু, ভাদু, গম্ভীরা ইত্যাদি আরব বেশ কিছু লোকগান আছে যা বাংলার নিজস্ব ঐতিহ্য। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই মাটির গান ছেড়ে পপ সহ আধুনিক সঙ্গীতে মজেঝেন। ফলে বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকসঙ্গীতগুলির কদর কমছে হু হু করে।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে বাউল গানের কথা পাল্টে, তার সুর বদলে আধুনিক বাদ্যযন্ত্র ঢুকিয়ে টিকে থাকার এক মরিয়া চেষ্টা করছেন বাউল শিল্পীরা। তবে তাতে বাউল গানের নিজস্বতা হারিয়ে যাচ্ছে বলে অনেকের অভিযোগ। প্রশ্ন উঠছে টিকে থাকার জন্য বাউল গানে সিন্থেসাইজার, গিটার সহ অত্যাধুনিক বাদ্যযন্ত্র ঢুকিয়ে আদৌ কি ঠিক হচ্ছে? এতে বাউল গানের নিজস্বতা হারিয়ে যাচ্ছে। অনেক শিল্পবোদ্ধার মতে, বাউল গান জোর করে পরিবর্তন করার কারণে তা আরও মানুষের থেকে দূরে চলে যাচ্ছে।
অনেক জায়গায় বাউল গানের নামে দর্শকের মন মজাতে বিভিন্ন চটুল গান গাইছেন গেরুয়া পোশাক পরা শিল্পীরা। এতে বাউল সঙ্গীতের ধারার ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিমত বর্ষিয়ান বাউল শিল্পীদের। তাঁদের আশা সঠিক বাউল গান তুলে ধরলে আজকের প্রজন্ম নিশ্চয়ই তা শুনবে।
জুলফিকার মোল্লা