প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বিকট শব্দের পরেই দেখা যায় ওই বাড়ির দেওয়াল সহ ছাদের অংশ কয়েক ফুট উপরে আকাশে উড়ে যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাও বেশি ছিল যে আশপাশের বাড়িতেও ক্ষয়ক্ষতি হয়।
>এদিন সকালে ঘনবসতিপূর্ণ ওই এলাকার এমনই একটি বাজি কারখানায় হঠাৎই বিকট শব্দে ঘটে বিস্ফোরণ। গোটা এলাকা ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়। মুহূর্তে কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখা যায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রক্তাক্ত মৃতদেহ।
advertisement
আরও পড়ুন – Janmashtami 2023: আপনি ফ্যাশনে ভাসলেই চলবে, ‘এই’ বাজারে দেদার বিকোচ্ছে ঠাকুরের জন্য ট্রেন্ডি পোশাক-গয়না
ঘটনা স্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেহ, বাড়ির চালেও পড়ে থাকতে দেখা যায় মৃতদেহ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি, এমনকি রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী মানুষজনও আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও অনুমান। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন বেআইনিভাবে বেশ কয়েকটি বাজি কারখানা চললেও, সব কিছু জেনেও কোনওরকম তৎপরতা দেখায়নি স্থানীয় প্রশাসন।
গুরুতর আহতদের ইতিমধ্যেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ইঞ্জিন, আগুন নেভানোর কাজ চালাচ্ছে তাঁরা। এখনও বিস্ফোরণস্থলের আশপাশে বেশ কয়েকটি বেআইনি বাজি কারখানার রয়েছে বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। যখন তখন সেই সমস্ত বাজি কারখানায়ও ঘটতে পারে বিস্ফোরণ। ইতিমধ্যেই অবৈধ বাজি কারখানা বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিক চাইছেন স্থানীয় বাসিন্দারা, তা না হলে আবারও ঘটতে পারে চরম বিপদ। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বাজি কারখানার বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মিলেছে প্রচুর বাজি তৈরির বিস্ফোরক মসলা। দুই শিশুসহ পাঁচ বছরের এক শিশুরও মৃত্যু হয়েছে এই বিস্ফোরণের ঘটনায়।
ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন সহ পুলিশ আধিকারিকেরা। ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলা হয়েছে। উদ্ধার কাজে নেমেছে প্রশাসন। তবে প্রশ্ন উঠছে যেখানে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বারবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বেআইনি বাজি কারখানার বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করার, সেখানে দাঁড়িয়ে কিভাবে চলছে এই বেআইনি বাজি কারখানাগুলি।
বড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ল জেলা পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা। কিভাবে কেন এই বিস্ফোরণ হল তা অবশ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ও ইতিমধ্যে পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্বদের বিরুদ্ধেও তুলছেন অভিযোগের আঙুল। এখনও এলাকার বেশ কয়েকটি অবৈধ বাজি কারখানায় মজুদ রয়েছে প্রচুর বাজি ও বিস্ফোরকের মশলা। ফলে যে কোন মুহূর্তে আবারও বিস্ফোরণের আশঙ্কায় এলাকাবাসীরা।
Rudra Narayan Roy






