প্রাচীন গাছ কেটে ফেলার প্রয়োজন হলে তার কারণ জানিয়ে অনুমতি নিতে হয় প্রশাসন থেকে। অথচ স্থানীয় মানুষের দাবি, কোন অনুমতি ছাড়াই ওই ক্লাব প্রাচীন মেহগনি গাছগুলোকে নির্বিচারে কেটে ফেলেছে। এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষের অভিযোগের আঙুল উদয়ন সংঘ ক্লাবের সভাপতি ভক্তিভূষণ ঘোষের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠতে ভক্তিভুষণেরকাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি সাংবাদিকদের অগ্রাহ্য করতে থাকেন। বারংবার প্রশ্ন ছুড়ে দিতেই তিনি সাফাই দিলেন, বাড়িতে গাছের ডাল পড়েছে তাই তিনি গাছ কেটে ফেলেছেন। অনুমতির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, তিনি অনুমতি নিয়েছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: মিজোরামে ভয়াবহ বাড়ছে আফ্রিকান সোয়াইন ফ্লু, মৃত ৫ হাজার শূকর! নিধন চলছে আরও...
প্রাচীন মেহগনি গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়ার এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। পরবর্তী সময়ে স্থানীয়দের বিক্ষোভের জেরে গাছ কাটা বন্ধ হয়। এই ঘটনায় ওই ক্লাবের বিরুদ্ধে বেলঘড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা যায়। ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রাচীন গাছ কেটে ফেলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কামারহাটি পৌরসভার পৌরপ্রধান গোপাল সাহা। তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা যথেষ্ট নিন্দনীয়।
আরও পড়ুন: সঙ্গমের সময় পার্টনারের সামনে স্বমেহন করেছেন কখনও? যা ঘটবে, ভাবতে পারবেন না
এই অনৈতিক কাজের জন্য পৌরসভার তরফ থেকে ক্লাব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালেন তিনি। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে পরিবেশ কর্মীদের লাগাতার প্রচার সত্বেও একশ্রেণীর মানুষ যেভাবে গাছ কেটে প্রকৃতিকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাদেরকে কিভাবে আটকাবে প্রশাসন? এখন সেই দিকেই তাকিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পরিবেশ প্রেমীরা।
রুদ্র নারায়ণ রায়