Healthy Lifestyle: সঙ্গমের সময় পার্টনারের সামনে স্বমেহন করেছেন কখনও? যা ঘটবে, ভাবতে পারবেন না

স্বমেহন অর্থাৎ মাস্টারবেশন বা অর্গাজম হল নিজস্ব অনুভূতির সঙ্গে জড়িত। রতিসুখ, নিজের নিজেকে আরাম দেওয়ার কাজ। বেশিরভাগ দেশেই যৌনতা নিয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষার অভাবে স্বমেহন নিয়ে নানা ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকেই ভাবেন এটা লজ্জার। নিজের পার্টনারের সামনেও এ নিয়ে কথা বলতে অস্বস্তি অনুভব করেন। মনে রাখবেন নিজেকে চিনলে তবেই অন্যকে চিনতে পারবেন, চেনাতে পারবেন। চরিত্র, মন ও শরীর-- সবক্ষেত্রেই এটি প্রযোজ্য। (Healthy Lifestyle) (প্রতীকী ছবি)

এ নিয়ে যৌনতা বিশারদ বা সেক্সোলজিস্টরা নিজেদের মতামত জানিয়েছেন একেবারেই উল্টো। তাঁদের মতে, দম্পতি বা যুগলরা নিজেদের সম্পর্ককে আরও নিবিড়, আরও মজবুত করার জন্য একে অপরের সামনে স্বমেহন করাকে ব্যবহার করতে পারেন। (প্রতীকী ছবি)

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বমেহন শেখাতে পারে নিজের হাতে কীভাবে নিজের শরীরকে আরাম দেওয়া সম্ভব। এবং এটি সম্পর্কে খুবই জরুরি। কারণ পার্টনারের সামনে এই কাজ করলে তিনিও আপনার শরীরকে চিনতে পারবেন আরও বেশি। যৌন জীবন অনেক বেশি আনন্দের হয়ে উঠবে। (প্রতীকী ছবি)

স্বমেহন শিখিয়ে দেয় আপনার পার্টনারের শরীর কোনটা পছন্দ করে, কোনটা নয়। ফলে যৌন মিলন অনেক বেশি সুখকর হয়ে ওঠে। ভরসা ও বিশ্বাস গড়ে ওঠে। মন ভালো থাকে। (প্রতীকী ছবি)

জার্নাল অফ মেরিটাল থেরাপিতে এ নিয়ে বিশদে আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে মহিলারা যাঁরা, নিয়মিত স্বমেহন করেন, তাঁরা যৌন জীবন অনেক বেশি সুখী। পার্টনারের সঙ্গেও সঙ্গম অনেক বেশি উপভোগ করেন তাঁরা। (প্রতীকী ছবি)

দম্পতি বা যুগলের মধ্যে অনেক সময়ই শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠলেও, অনেক সময়ই তাঁরা একে অপরের পছন্দ-অপছন্দ বুঝে উঠতে পারেন না। ফলে যৌন জীবনে ভাঁটা পড়তে শুরু করে। এ ক্ষেত্রে একসঙ্গে বা একে অপরের সামনে স্বমেহন দারুণ শিক্ষণীয় হতে পারে। হরমোনের ক্ষরণও অনেক বেশি হয় এতে। (প্রতীকী ছবি)

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পার্টনার একে অপরের সঙ্গে 'শো অ্যান্ড টেল' অর্থাৎ 'দেখাও এবং বলো' এমন একটা খেলার মাধ্যমে নিজেদের যৌন জীবনকে সঠিক পথে চালনা করতে পারেন। যৌনতার সময় কথোপকথন খুবই জরুরি। ফলে নিজেদের মধ্যে এই খেলার মাধ্যমে সম্পর্ক গভীর হতে পারে। (প্রতীকী ছবি)

সঙ্গমের সময় আপনার পার্টনারের কী ভালো লাগে, কী করলে তিনি বেশি উত্তেজিত হন, কীসে তিনি হাসেন, কীসে তাঁর অপছন্দ, কীসে সীমা রয়েছে, সবই একসঙ্গে স্বমেহনের মাধ্যমে জেনে যাওয়া যেতে পারে। ফলে এই কাজ যদি আপনি ইতিমধ্যেই করে থাকেন, তাহলে আপনি ঠিকই করছেন। (প্রতীকী ছবি)