প্রসঙ্গত, তৃণমূলের নব জোয়ার কর্মসূচির মধ্যেই রাখা হয়েছিল এই দোকানের মিষ্টি চোখে দেখার বিষয়টিও। আর তাই আগে থেকেই গাইঘাটার চাঁদপাড়া বাজারের রায় মিষ্টান্ন ভান্ডারে মোতায়েন করা ছিল বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঘিরে রাখা হয়েছিল দোকান। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মিষ্টি চোখে দেখবেন বলে রাখা হয়েছিল বাহারি মিষ্টিও। দোকান মালিক হরিপদ রায় জানান, আগের দিন রাত থেকেই বিশেষ তোড়জো শুরু করা হয়েছিল মিষ্টি তৈরির জন্য।
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূলে বিরাট ভাঙন, চমকে দিল বিজেপি! দলবদলে বড় শোরগোল
তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো মিষ্টি খাবেন বা পছন্দ করবেন তা কোন কিছুই জানা ছিল না দোকান মালিকের। আর তাই তার দোকানের বিখ্যাত মিষ্টি গুলি প্রায় সব রকম আইটেমই তৈরি করেছিলেন হরিপদবাবু ও তার সাত জনের মিষ্টি প্রস্তুতকারী কর্মচারী দল। অভিষেক মিষ্টি খেয়ে দেখবেন, সেই আনন্দে এদিন সপরিবারে দোকানে হাজির ছিলেন দোকান মালিক হরিপদ রায়।
আর পাঁচটা দিনের থেকে একটু আলাদা রকম ভাবেই সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হয়েছিল দোকানের ভেতরের অংশ। অবশেষে দোকানে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা সংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দোকানে প্রবেশ করতেই তাকে হাসিমুখে বরণ করে নেন বয়স্ক দোকানদার হরিপদবাবু। অফার করেন তাঁর দোকানের নানা ধরনের মিষ্টি। যদিও, শেষ পর্যন্ত কাঁচাগোল্লাই তার মধ্যে থেকে পছন্দ করেনেন তৃণমূলের এই সেকেন্ড ইন্ড কমান্ড। কাগজের প্লেটে চামচ দিয়ে তৃপ্তি ভরে সেই কাঁচাগোল্লার স্বাদ নিতে দেখা যায় তাকে। মিষ্টি দইও অফার করে ছিলেন দোকান মালিক তবে, তা অবশ্য তিনি আর খাননি।
আরও পড়ুন: করমণ্ডল দুর্ঘটনায় বিরাট মোড়! CBI-এর জালে ৩! নিয়ে যাওয়া হল অজ্ঞাত স্থানে
অভিষেককে নিজের দোকানের মিষ্টি খাওয়াতে পেরে বেজায় খুশি দোকানদার হরিপদ রায়। প্রতিক্রিয়ায় হরিপদ বাবু জানান, তাঁর দোকানের মিষ্টি খেয়ে খুশি হয়েছেন অভিষেক। মানুষ হিসেবেও তিনি খুবই ভালো। দোকানদারের ছোট নাতির সঙ্গেও আলাপ করলেন অভিষেক। দোকানে ঢুকলেই উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেনের ছবি বাঁধানো রয়েছে দেখা যায়। তবে এদিনের পর থেকে রায় মিষ্টান্ন ভান্ডারের মিষ্টি খাওয়ার ব্যক্তিত্বদের তালিকায় নতুন সংযোজন হলেন শাসকদলের সেকেন্ড ইন কমান্ড সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জীর নামও। আর তারপর থেকে দোকানে অনেকেই আসছেন নানা মিষ্টি চেখে দেখতে।
—— Rudra Narayan Roy