গোপালনগর থানার শ্রীপল্লী ব্যারাকপুর এলাকায় সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বসত ভিটে৷ পাশেই সাহিত্যিকের স্মৃতি বিজড়িত ইছামতি নদীর ঘাট৷ আর সেই এলাকাতেই ২০০১ সালে তৈরি হয়েছিল বিভূতিভূষণ পার্ক ও ইছামতি নদীর উপর এই ঝুলন্ত সেতু৷ বছরের নানা সময় সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটক ও সাহিত্যিকরা এসে ভিড় করেন। গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু ব্যবহার করেন দু প্রান্তের হাজার খানেক মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুন: কত কোটির মালিক সস্ত্রীক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক? কোথায় কী সম্পত্তি রয়েছে? রইল হিসেব
বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই ঝুলন্ত সেতুর উপর দিয়ে মাধবপুর, শিবপুর, মনিগ্রাম, সদাইপুর সহ সাত আটটি গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক তাদের সবজি নিয়ে হাটে বাজারে যান৷ এলাকার মানুষজন অসুস্থ হলে, রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার এটাই প্রধান রাস্তা৷ তা না হলে প্রায় ১৫ থেকে ১৭ কিলোমিটার ঘুরে পৌঁছতে হয় হাসপাতালে। সেতুটি পি ডব্লু ডি’র তত্ত্বাবধান থাকায়, সম্প্রতি সেতুটির খারাপ অবস্থা জানিয়ে বাইক ও হেঁটে পারাপার ছাড়া অন্য সব যাতায়াত বন্ধ করার ঘোষণা করা হয়েছে। তারপর থেকেই বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন।
আরও পড়ুন: কদিন বাদেই অশোকনগরে হয়ে যাবে জাদুনগরী! ব্যপারটা কী
এলাকাবাসীদের কথায়, সেতু নির্মাণের পর থেকে মাঝেমধ্যে ছোটখাটো সংস্কার হলেও প্রায় পাঁচ বছর ধরে শুনছি সেতুটির স্বাস্থ্য খারাপ। কিন্তু এতদিনেও কেন সংস্কার করা হল না সেতুটির! এখন সেতু সংস্কার ও গ্রামবাসীদের যাতায়াতে কি পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন, সে দিকেই তাকিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন।
Rudra Narayan Roy