সবলা মেলা ও অশোকনগর উৎসব উপলক্ষে বিধানচন্দ্র রায় ক্রীড়াঙ্গন স্টেডিয়াম চত্বর আলোর মালায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অশোকনগরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন সহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সুসজ্জিত র্যালির মাধ্যমে মেলার মাঠে প্রবেশ করেন। এরপর শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রদীপ জ্বালিয়ে ও বেলুন উড়িয়ে জেলা সবলা মেলা ও অশোকনগর উৎসবের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, ইন্দ্রনীল সেন, পার্থ ভৌমিক, রথীন ঘোষরা। বারাসত লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারও হাজির ছিলেন। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরৎ কুমার দ্বিবেদী, অশোকনগর পুরসভার পুরপ্রধান প্রবোধ সরকার সহ অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার জনপ্রতিনিধিরাও হাজির ছিলেন।
advertisement
এই অশোকনগর উৎসবের প্রধান উদ্যোক্তা স্থানীয় বিধায়ক নারায়ন গোস্বামী। তাঁর জন্যই সবলা মেলাও অশোকনগরে আয়োজিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা কমিটির বাকি সদস্যরা। এই মেলায় প্রায় ৭৫ টির উপর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের স্টল আছে। পাশাপাশি দেদার পেট পুজোর বন্দোবস্তও আছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীতে হয়ে গেল আন্তর্জাতিক চিত্র প্রদর্শনী
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সতীনাথ মুখোপাধ্যায়। অশোকনগর উৎসবে প্রতিদিন সন্ধেতেই বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা তাঁদের হাতের কাজের জিনিস নিয়ে সবলা মেলায় যোগ দিয়েছেন। সেখানে মেয়েদের সাজের অলঙ্কার থেকে পোশাক, ঘর সাজানোর জিনিস থেকে ছোটখাট শোপিস সব কিছু আছে। প্রথম দিনই দেখা গেল বহু মানুষ এই মেলায় ভিড় করে এসেছেন। নানান সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করার পাশাপাশি চলছে দেদার কেনাকাটা। সবমিলিয়ে নতুন বছরের শুরুতেই আনন্দে মেতে উঠেছে অশোকনগর এলাকা। উৎসবে আনন্দের পাশাপাশি নিরাপত্তার বন্দোবস্ত যথেষ্ট জোরদার করা হয়েছে। প্রায় ১৬ টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সবসময় চালানো হচ্ছে নজরদারি।
রুদ্রনারায়ণ রায়