করোনার তৃতীয় ঢেউ ফের সংক্রমণের গতি বাড়াতেই আবারও হতাশায় ভুগতে শুরু করেছিলেন তারা। সংক্রমণের গ্রাফ কিছুটা কমতেই সরস্বতী পুজোর আগেই রাজ্যের সর্বত্র খুলছে স্কুল-কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রাজ্য সরকারের এই ঘোষণার পর থেকেই আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন বাংলার মৃৎশিল্পীরা। তাদের আশা, স্কুল-কলেজ খুললে সরস্বতী পুজো হবেই। ফলে বাড়বে প্রতিমার চাহিদা। আর সেই আশাতেই এখন উত্তর ২৪ পরগনার পটুয়াপাড়া গুলিতে চলছে জোর কদমে কাজ (North 24 Parganas News)। আরও বেশি সংখ্যায় প্রতিমা গড়তে দিনরাত এক করে কাজ শুরু করেছেন মৃৎশিল্পীরা। অন্যান্য জায়গার মতো প্রতিমা প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ের কাজের ব্যস্ততা দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে।
advertisement
অশোকনগরের বিজয় ফার্মেসি অঞ্চলে প্রতিমা শিল্পালায়ে দেখা গেল প্রতিমা তৈরির চূড়ান্ত ব্যস্ততা (North 24 Parganas News)। এই প্রতিষ্ঠানের মৃৎশিল্পী গৌর পাল জানালেন, "বিগত দিনগুলোতে তেমন বায়না না থাকায় খুব অর্থকষ্টে ছিলাম আমরা। তিন তারিখ রাজ্য, সরকারি স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করতেই আবার নতুন করে প্রতিমা বানানোর কাজ শুরু করলাম"। ইতিমধ্যেই তিনি পঞ্চাশটি প্রতিমা গড়ে ফেলেছেন। তিনি আশা করছেন, যদি তার বানানো প্রতিমাগুলো সব বিক্রি হয়ে যায় তবে কিছুটা হলেও বিগত দিনের লোকসানের পরিমাণ কমবে।
অশোকনগরের আরও এক মৃৎশিল্পী জানালেন, "গত দু'বছর ধরে যে অর্থকষ্টের যন্ত্রণায় ছিলাম তা বলে বোঝাতে পারবো না। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে, স্কুল কলেজ খুলবে, তাই সরস্বতী পুজোয় এবার প্রতিমা বিক্রি চাহিদা বাড়বে। প্রতিমার চাহিদা যদি এবছর ঠিক থাকে তবে অন্তত কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখতে পারবো"। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ পেয়ে বহু স্কুল , কলেজ থেকে বায়না আসতে শুরু করেছে মৃৎশিল্পীদের কাছে। বিগত দিনের হতাশা কাটিয়ে সরস্বতী পুজোয় প্রতিমা বিক্রি করে লাভের মুখ দেখার আশায় বুক বাঁধছেন পটুয়াপাড়া মৃৎশিল্পীরা।
Rudra Narayan Roy