প্রশ্ন উঠছিল, এ দিনও কি কলকাতায় ফের একবার গেরুয়া গান গাইবেন অরিজিৎ? নাকি এড়িয়ে যাবেন বিতর্কের ভয়ে? কিন্তু এ দিন মঞ্চ থেকে শুধু 'রং দে তু মোহে গেরুয়া' গাইলেনই না অরিজিৎ, গত দু'মাস ধরে চলে আসা বিতর্কের জবাবও দিলেন গায়ক। তিনি নিজেও পরেছিলেন গেরুয়ার পাগড়ি। সঙ্গে কালো শার্ট আর ট্রাউজার্স। বুকের কাছে জাতীয় পতাকার ব্যাজ।
advertisement
মঞ্চে দাঁড়িয়ে অরিজিৎ ধরলেন 'গেরুয়া' গান। গান শেষে বললেন, "আরে এই গানটাই যত নষ্টের গোড়া। গেরুয়া তো সন্ন্যাসীদের রং। স্বামী বিবেকানন্দও তো গেরুয়া পরতেন। তিনি যদি সাদা পরতেন, তা হলে কি এত বিতর্ক হত?" দর্শক আসনে থাকা শ্রোতারা তখন রীতিমতো উচ্ছ্বসিত।
আরও পড়ুন: রাজের সামনেই অরিজিতের কণ্ঠে 'বোঝে না সে বোঝে না'! আবেগঘন হয়ে কী করলেন শুভশ্রী
আরও পড়ুন: কনসার্টে অরিজিতের গলায় একলা ঘর, দর্শকাসনে রূপম ইসলাম! গানে গানে দেখা দুই রকস্টারের
প্রসঙ্গত, কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অরিজিতের গান শোনার আবদার করেন। সেই সময় বাংলার ভূমিপুত্র মঞ্চে গান শুরুর আগে বলেছিলেন, একটি গান গেয়ে দিলেই 'ল্যাটা চুকে যাবে'। এরপরই, ‘রং দে তু মোহে গেরুয়া’ গান ধরেন তিনি। শুরু হয় বিতর্ক। তার পরেই জানা যায়, ইকো-পার্কে অরিজিতের কনসার্টের অনুমতি বাতিল করেছে হিডকো কর্তৃপক্ষ। অবশেষে এ দিন যেন সমস্ত বিতর্কের অবসান ঘটালেন গায়ক নিজেই।
দর্শক আসনেও ছিল চাঁদের হাট। রাজ চক্রবর্তী থেকে রূপম ইসলাম, বিধান নগরের মেয়র থেকে অদিতি মুন্সি সকলেই তখন মুগ্ধ হয়ে শুনছেন একের পর এক হিট গান। প্লে-লিস্টে ছিল হিন্দি আর বাংলার অসাধারণ যুগলবন্দি। ‘শায়েদ’, ‘বেখায়ালি’, ‘নয়না’-র মতো নিজের হিট বলিউড গানের পাশাপাশি গাইলেন মান্না দে, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ‘দোল দোল দোল’, ‘এই পথ যদি না শেষ’ হয়-সহ একাধিক পুরনো দিনের বাংলা গান। শোনালেন রামপ্রসাদী গানও।
অনুষ্ঠানকে ঘিরে ছিল করা নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ দিনের কনসার্টের বাড়তি পাওনা ছিল, রুপম ইসলাম এবং অরিজিতের যুগলবন্দী। অরিজিতের মেগা শো দেখে উচ্ছ্বসিত তিলোত্তমা।
রুদ্র নারায়ণ রায়