স্থানীয় সূত্রে মানুষের মুখে জানা যায়, প্রায় ছিয়াশি ছটাক জমির উপরে আজও দাঁড়িয়ে আছে এই বট বৃক্ষ। এক সময় এলাকার মানুষ ওই বট গাছের তলায় গিয়ে বিভিন্ন রকম প্রার্থনা করতো। শীতের সময় বহু মানুষ এখানে একসময় পিকনিকের জন্য আসতেন। আজও বহু মানুষ এই রামেশ্বরপুরের বটতলায় ঘুরতে আসেন। এই বটগাছের নীচেই রয়েছে একটি পীরের মাজার। কথিত আছে পীর গোরাচাঁদ এক সময় তাঁর ধর্ম প্রচারে বেরিয়ে এই বটবৃক্ষের নীচে সাধনা করেছিলেন। সেই সময় থেকেই এই জায়গাটির নাম গোরাতলা। এলাকার যত বয়স্ক মানুষের কাছেই জানতে চাওয়া যায় এই বট গাছের গল্প বা এই বটগাছের আসল গোড়া কোথায় সেই খবর কেউই দিতে পারেনা। তাঁরা জানান তাঁদের পূর্বপুরুষরাও গল্প করে গেছেন এবং এই গাছের মূল কাণ্ডটি কোন জায়গায় অবস্থিত বলতে পারতেন না।
advertisement
আরও পড়ুন : চলতি সপ্তাহে রাজ্যের কোন কোন জেলায়, কবে থেকে চলবে তাপপ্রবাহ, বর্ষার আর কত দেরি, জানুন আবহাওয়ার মতিগতি
বর্তমানে এই গাছতলাতেই আশ্রয় নেয় গ্রীষ্মের সময় ক্লান্ত পথিক, আবার গ্রামের ছেলে মেয়েরা কোথাও বা দোল খায়, আবার কখনও বা নব প্রজন্মকে দেখা যায় একটু হাসিঠাট্টার জন্য এই বট গাছের নীচে। গ্রামের মানুষের মধ্যে এমন ধারণা আছে, এই বটগাছ কাটা পড়লে গ্রামের ক্ষতি হবে। বহু বছরের এই ধারণা নিয়েই বেঁচে আছেন গোরাতলার মানুষ।