আরও পড়ুনঃ পদ্মের শিকড় বিক্রি করেই হবে প্রচুর লাভ, পুজোর আগে অর্থ উপার্জনের নয়া দিশা
এই সবের জেরেই চারা রোপনে দেরিহওয়ায় ফলনের হার কমেছে। এমত অবস্থায় হতাশ কৃষকদের মনে আত্মবিশ্বাস এনে দিতে হাবড়া ১ নং ব্লকের কৃষিদপ্তরের আত্মা প্রকল্পের উদ্দ্যোগে তৈরি হয়েছে কৃষি বিদ্যালয়। যেখানে কৃষকদের নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে চাষের পদ্ধতিগুলো শেখানো হয় হাতে কলমে।
advertisement
যন্ত্রের সাহায্যে ধান চাষে সাফল্য পেয়ে মালিক গ্রামের কৃষক সাইফুল্লা গাজি জানালেন, গতানুগতিক ধান চাষে ধানের চারা রোপন করতে বিঘা প্রতি খরচ পড়ত ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। সেখানে যন্ত্রের ব্যবহারে খরচ গিয়ে সর্বসাকুল্যে দাঁড়ায় ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। উপরন্তু এই পদ্ধতিতে চাষে করলে গাছের বৃদ্ধির হার হয় দ্রুত।ফলনের পরিমানও হয় যথেষ্ঠ। গতানুগতিক চাষে রোপনের সঠিক সময়ে, মেলেনা কৃষিশ্রমিক। ফলে সঠিক সময়ে ফসল ফলাতে না পেরে ঘাটতি দেখা যায় ফলনে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলেও মেলেনা ফসলের দাম। এমন সমস্যা থেকে কৃষকদের মুক্তি দিতে কৃষি দফতরের ঐকান্তিক প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কৃষক সাইফুল্লা গাজি। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ধান চাষে অভুতপুর্ব সাফল্যে কৃষকের ঘরে উঠেছে সোনার ফসল বিক্রির লাভের টাকা। চাষ করে ঋনের বোঝা বয়ে বেড়ানো নয় বরং যন্ত্রের ব্যবহারে ধান চাষে সুদৃঢ় হচ্ছে লাভের অংকের পরিমান।
কীভাবে কাজ করে এই মেশিন! ধানের চারা রোপনের আগে বিশেষ পদ্ধতিতে প্লাষ্টিকের ট্রে-তে ধানের বীজতলা বসানো হয়। একটা সময় পর সেগুলো ট্রে থেকে তুলে মেশিনের সাহায্যে মাঠে কাদা করে বসানো হয়। পুরো প্রক্রিয়াটা যেহেতু মেশিনে করা হয় তাই ধানের চারার শিকড় থাকে অক্ষত। গাছগুলো মাটির গভীরে প্রবেশ করে না। শিকড় সমেত গাছের চারাগুলো অচিরেই মাটিতে শিকড় বিস্তার করে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। সময় মতো রোপন হতেই ফলনের ব্যপ্তি ঘটে আশানুরুপ ভাবে। কৃষি আধিকারিক দাবী করেছেন, গতানুগতিক চাষ অপেক্ষা মেসিনের সাহায্যে ধান রোপন করলে ফলন বাড়বে ৩০ শতাংশেরও বেশী।
ধানের চারা রোপন যন্ত্রের ব্যবহারে কম সময়ে,কম টাকায় বেশী জমিতে ধানের চারা রোপনে বেড়েছে ফলনের হার। গতানুগতিক চাষ থেকে বেরিয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে আগ্রহ দেখিয়ে লাভের মুখ দেখতেই কৃষক পরিবারের মুখে ফুটছে চওড়া হাসি।
Rudra Narayan Roy