মাসখানেক আগে সল্টলেকে সোনি ব্রাদার্স নামে একটি ভুয়ো কল সেন্টারের সন্ধান পাওয়া যায়। যারা ইন্টারনেট কলিংয়ের মাধ্যমে আমেরিকা ও ইউরোপের মানুষকে প্রতারিত করছিল। এই কল সেন্টারের যুগ্ম মালিক গৌরব সোনি ও সৌরভ সোনির কাছ থেকে নিউটাউন থানার পুলিশ প্রায় ৪ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করে। পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছিল কল সেন্টারে ব্যবহৃত একাধিক গ্যাজেট, কম্পিউটার, হার্ডডিস্ক, বিলাসবহুল গাড়ি ও বন্দুক।
advertisement
আরও পড়ুন: ফুটপাত পুনরুদ্ধারের হকারদের আল্টিমেটাম
গত ২ মার্চ নাকা চেকিং চলার সময় চার যুবককে গ্রেফতার করেছিল নিউটাউন থানার পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ১৩ লাখ ২৬ হাজার টাকা এবং চারটি দামি গাড়ি উদ্ধার হয়েছিল। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ভুয়ো কল সেন্টারের সন্ধান মেলে। পরে সেখানে হানা দিয়ে একাধিক এটিএম কার্ড, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার হয়। সেখানকার কর্মীদের জেরা করে জানা যায় এই ভুয়ো কল সেন্টারের মূল পান্ডা দুই ভাই গৌরব সোনি ও সৌরভ সোনি। এরপরই ৫ মার্চ হাওড়ার লিলুয়াতে এই দুই ভাইয়ের বাড়িতে তল্লাশি চলায় নিউটাউন থানার পুলিশ। তাঁদের বাড়ি থেকে প্রচুর নথির পাশাপাশি দুটি বিলাসবহুল গাড়ি ও একটি বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। এরপরই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও ৬ মার্চ বারাসত আদালতে তোলা হলে তাদের জামিন হয়ে যায়।
৮ মার্চ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নিউটাউন থানার পুলিশ নিউটাউনের একটি বহুতল আবাসনে তল্লাশি চালিয়ে ৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা উদ্ধার করে। এরপর ১৪ মার্চ আবারও বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ সৌরভ ও গৌরব সোনিকে নিউটাউন থেকে গ্রেফতার করে। তাদের সঙ্গে নিয়ে বিধাননগর এলাকার একাধিক কলসেন্টারে হানা দিয়ে প্রচুর নথি উদ্ধার হয়।
পরবর্তীতে সোনি ব্রাদার্সদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, বিধাননগর এলাকায় তাদের সব ভুয়ো কলসেন্টারের দায়িত্বে ছিল গৌরব সোনির ম্যানেজার তথা হিসাবরক্ষক অসিত আদক। এরপরই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ মহেশতলা থেকে শুক্রবার অসিত আদককে গ্রেফতার করে। পুলিশের অনুমান, এই অসীত আদককে জেরা করে ভুয়ো কলসেন্টার কাণ্ডের আরও গভীরে যাওয়া যাবে।
অনুপ চক্রবর্তী