এমবিবিএস পাশ ফারুক হোসেনের বাবা ছিলেন দিনমজুর তবুও দারিদ্রতাকে আঁকড়ে ধরে পড়াশোনায় ত্রুটি ছিল না তাঁর। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকে আমিও দরিদ্র পরিবার থেকে বড় হয়েছি। গ্রামের স্কুলে মাধ্যমিক পাশ করে বিনা বেতনে আল আমিন মিশনে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ২০১২ সালে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাশ করেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মা বিড়ি বাঁধে, ছেলে সাফল্যের চূড়ায়! WBCS পরীক্ষার সাফল্যের কাহিনী
২০০৯ সালে আয়লার ক্ষত নিয়ে বেড়ে উঠেছেন। বর্তমানে তিনি সফল চিকিৎসক। কিন্তু কৈশোরের দুঃখ কষ্টের কথা ভোলেননি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই শুরু করেন আর্ত মানুষের সেবার কাজ। সুন্দরবন অঞ্চলের সন্দেশখালির খাস-শাকদহে শুরু করেন এলাকার মানুষের জন্য বিনা পয়সায় চিকিৎসা পরিষেবা। ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন 'নব দিগন্ত' সংস্থা। শুরু করেন নব দিগন্ত মিশন স্কুলে অনাথ অসহায় ও স্কুলছুট আদিবাসী ছেলেমেয়েদের জন্য নার্সারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠদান। আর সেই নব দিগন্ত মিশনেই সপ্তাহের প্রতি শনিবার বিনামুল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেন তিনি।
শুধুমাত্র চিকিৎসা পরিষেবা নয় ইসিজি, নেবুলাইজার, অক্সিজেনের পরিষেবার পাশাপাশি বিনামূল্যে ওষুধও দেন। করোনা পরিস্থিতিতেও নিয়মিত চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি, গ্রামের স্কুল ও কলেজের ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রেসার সুগার ইসিজি মাপার কাজ শিখিয়েছেন। ফলে তিনি না থাকলেও সব সময়ে পরিষেবা পাচ্ছেন গ্রামের মানুষ। সুন্দরবন অঞ্চলের মেয়েদের স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবহারের জন্য সচেতন করেছেন। শুরু করেন বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন দেওয়ার কাজ। ২০২১ সালে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ নাম ওঠে তাঁর।
জুলফিকার মোল্যা