জি ২০ নেতারা আগেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবিত নারী-নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের ধারণাকে বাস্তবায়িত করতে ভারত অবিচল। তারই ফলশ্রুতিতে এই বিশেষ জোট গঠন।
এই বিশেষ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হবে বিজনেস ২০, ওম্যান ২০, জি ২০ এম্পাওয়ার-এর মতো শাখা সংগঠন যা জি ২০ ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে কাজ করে। এদের কাজই হবে বৃহত্তর বিশ্ব-সম্প্রদায়ের স্বার্থে জি ২০ নেতাদের প্রতিশ্রুতিকে কার্যকর করে তোলা।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৬ বছরের নীচে কোচিং ক্লাসে ভর্তি করা যাবে না, বড় নির্দেশ শিক্ষামন্ত্রকের! কারণ জানলে চমকে যাবেন
‘অ্যালায়েন্স ফল গ্লোবাল গুড-জেন্ডার ইক্যুইটি অ্যান্ড ইক্যুয়ালিটি’-র একটি গভীর প্রভাব পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। কৌশলগত ভাবে এই গোষ্ঠী কাজ করবে গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষ্যে— সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল বা SDG।
এই উদ্যোগে থাকবে মূল তিনটি বিষয় বা SDG 3। যেমন সুস্বাস্থ্য এবং সুস্থতা, গুণগত শিক্ষা, এবং লিঙ্গ সমতা ও ক্ষমতায়ন। এরই সঙ্গে থাকবে গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর ডেভলপমেন্টের মতো বিষয়ও।
আরও পড়ুন: রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন কি পশ্চিমবঙ্গেও সরকারি ছুটি? চিঠি পৌঁছল মমতার কাছে! মিলবে সাড়া?
এই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির সূচক লিঙ্গ সমতা এবং ন্যায় রক্ষায় ভারত যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার উপরও জোর দেবে। ফলে এটিই হয়ে উঠবে বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সেক্ষেত্রে আরও সক্রিয় শক্তি হিসাবে ভারতের অবস্থান আরও জোরদার হবে।
জোটের লক্ষ্যই হল বিশ্বব্যাপী উন্নত অনুশীলন, জ্ঞানের বিস্তার, মহিলাদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং এন্টারপ্রাইজের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকে একত্রিত করা।
জোটের পক্ষে রয়েছেন Mastercard, Uber, Tata, TVS, Bayer, Godrej, Serum Institute of India, IMD Laussane-এর মতো ১০ হাজারটিরও বেশি শিল্প সংস্থার নেতারা। রয়েছে Bill and Melinda Gates Foundation-এর সমর্থনও। তাই এই জোটটি কাজ করবে CII সেন্টার ফর উইমেন লিডারশিপ-এর সঙ্গে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম অবশ্য একটি ‘নেটওয়ার্ক পার্টনার’ হিসেব কাজ করছে। ইনস্টিটিউশনাল পার্টনার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ভারতকে।
ভারত চিরকালই বিশ্বাস করেছে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’ তত্ত্বে। অর্থাৎ গোটা বিশ্বই আমার আত্মীয়। এথেকেই এসেছে ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ’-এর তত্ত্ব। সেই প্রবাহে আস্থাশীল ভারত ‘সব কা সাথ সব কা প্রয়াস’-এর প্রতিও আস্থাশীল। অর্থাৎ, সকলের চেষ্টাতেই একসঙ্গে কাজ করার কথা। সেই বার্তাই ফুটে উঠেছে ‘অ্যালায়েন্স ফর গ্লোবাল গুড- জেন্ডার ইক্যুইটি অ্যান্ড ইকুয়ালিটি’-তে যা, সমস্ত লিঙ্গ সংক্রান্ত বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য একটি শক্তি হয়ে উঠবে আগামী দিনে।