বিলটির পক্ষে ভোট পড়েছে ৬৩টি এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে ২৩টি। ফলে বিরোধীদের আপত্তি খারিজ হয়ে যায়। বিরোধী শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই বিধি দেশে বিভাজন তৈরি করবে এবং ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করবে। বিলটির বিরুদ্ধে একযোগে সরব হয় কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি। অন্যদিকে ওয়াক আউট করে বিজু জনতা দল।
আরও পড়ুন: G-20 বৈঠকে ১৫ মিনিটের ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর, বলার সুযোগ পেলেন না মুখ্যমন্ত্রী
advertisement
রাজ্যসভার নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল বলেন, সাংসদদের আইনি অধিকার রয়েছে তাঁর দাবি পেশ করার। তিনি বিরোধী শিবিরের উদ্দেশে বলেন, "বিষয়টি নিয়ে সংসদে আলোচনা হোক। " বিরোধীদের প্রবল হট্টগোলের মধ্যেই ধ্বনি ভোটের নির্দেশ দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়।
আইন কমিশনের রিপোর্ট তুলে ধরে সিপিএম সাংসদ জন ব্রিটাস বলেন, এই বিল প্রয়োজনীয় বা কাম্য কোনওটাই নয়। ডিএমকে সাংসদ ত্রিরুচি শিবা বলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ধর্ম নিরপেক্ষতাকে আঘাত করে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সংবিধানের অনুচ্ছেদের পরিপন্থী বলে অভিযোগ করেন সমাজবাদী পার্টি সাংসদ রামগোপাল যাদব। প্রাইভেট মেম্বার বিলের পাশাপাশি রাজ্যসভায় জিরো আওয়ারে আলোচনার দাবি জানান বিজেপি সাংসদ হরনাথ সিং যাদব।
আরও পড়ুন: ফের জামিন পেলেন সাকেত, প্রতিবাদ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের
সদ্য সমাপ্ত গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের ইশতেহারে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। উত্তরাখণ্ডে বিজেপি সরকার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করেছে। হিমাচলেও একই পদক্ষেপ করেছে বিজেপি। উত্তর প্রদেশে, কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলিতে বিজেপি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর করা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে।
গত অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে হলফনামা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে বলা হয়, এটি একটি নীতিগত বিষয়। ফলে এই বিষয়ে একমাত্র সংসদ বা আইনসভাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।