আরও পড়ুন: রাজ্যে ১৫ থেকে ১৮ বয়সিদের টিকাকরণ আগামিকাল! কোন কোন স্কুলে দেওয়া হবে টিকা? জানুন...
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের মোট ১৪২ জনের ফোনে পেগাসাস স্পাইওয়্যার লাগানো হয়েছে। এই ধরণের কোনও কিছু করা হয়েছে বলে জানায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষণাগার। অভিযোগ, পেগাসাস (Pegasus Committee) স্পাইওয়্যার বসানো হয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের দুজন রেজিস্ট্রার, একজন প্রাক্তন বিচারপতি পুরনো মোবাইল নম্বর, প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেলের এক ঘনিষ্ট এবং ৪০ জন সাংবাদিকের ফোনে।
advertisement
উল্লেখ্য, গত বাদল অধিবেশন শুরুর একদিন আগেই সামনে আসে পেগাসাস ইস্যু। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সমাজকর্মী থেকে শুরু করে সাংবাদিক এমনকী বিচারবিভাগের সঙ্গে যুক্ত লোকজনদের ফোনও ট্যাপ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে হইচই পড়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে বিবৃতি দাবি করে বিরোধীরা। যদিও পেগাসাস সফটওয়্যার একমাত্র সরকারিভাবেই বিক্রি করা হয় বলে জানায় প্রস্তুতকারক সংস্থা এনএসও।
আরও পড়ুন:আর নাইট-শো নয়? রাজ্যে করোনাবিধির কড়াকড়ি সিনেমা হলেও, মানতে হবে একাধিক শর্ত!
বিরোধীদের দাবি সরকারের তরফে কার অনুমতি নিয়ে পেগসাস (Pegasus Committee) কেনা হয়েছিল তা বিস্তারিত জানতে হবে। সরকারের তরফে বলা হয়, এমন কোনও অবাঞ্ছিত কাজ করা হয়নি। তবে এনিয়ে সংসদে কোনও আলোচনা বা কেন্দ্রীয় সরকারি স্তর থেকে কোনও বিবৃতি আসেনি।
শীর্ষ আদালতে পেগাসাস নিয়ে দায়ের হওয়া একাধিক মামলাকে একত্র করে শুনানি শুরু হয়। গত অক্টোবরে শীর্ষ আদালত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়ে দিয়ে মন্তব্য করে, সবসময় জাতীয় নিরাপত্তার যুক্তি দেখিয়ে সব কিছুতে অবাধে হস্তক্ষেপ করতে পারে না সরকার। তেমন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে না বলেও মন্তব্য করে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ জানায় কেবলমাত্র সাংবাদিক বা সমাজকর্মীদের নয়, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের গোপনীয়তার অধিকার রয়েছে।