কেন্দ্রীয় আয়ূষ মন্ত্রকের কাছে ইতিমধ্যেই আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার জনপ্রিয় এই চাটনিকে পরিচিতি ও স্বীকৃতি দিতে জিআই তকমার দাবি তোলা হয়েছে। ময়ূরভঞ্জের পিডব্লুউডি সহকারী ইঞ্জিনিয়র চিঠি লিখেছেন মন্ত্রকের কাছে। আদিবাসীরা এই চাটনি তৈরি এবং বিক্রি করে দিন গুজরান করেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় আয়ূষ মন্ত্রকের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়েছে। পুরো বিষয়টিই বিচারের পর্যায়ে রয়েছে বলে খবর।
advertisement
আরও পড়ুন: সরকারি এই সংস্থায় বিপুল নিয়োগ, বেতন শুরু ৬৭ হাজার টাকা! জানুন
কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের গবেষক জগন্নাথ পাত্র এই চাটনি রান্নার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন। লাল পিঁপড়ের বৈজ্ঞানিক নাম ওইসোফিল্লা সামারাগডিমা। গোটা বছরই এই পিঁপড়ে ময়ূরভঞ্জ এলাকায় দেখা যায়। গাছেই বাসা বাঁধে এই পিঁপড়েরা। সেখান থেকেই পিঁপড়ে বের করে আনে আদিবাসীরা। এরপর জলের মধ্যে গাছে পাতায় লেগে থাকা ওই পিঁপড়েগুলিকে ডুবিয়ে রাখা হয়। লার্ভাগুলিকে আলাদা করা হয়। এরপর মশলা মিশিয়ে চাটনি তৈরি করে খাওয়া হয় সেগুলি। কাই চাটনিতে দেওয়া হয় নুন, আদা, রসুন এবং লঙ্কা।
আরও পড়ুন: 'একটা ব্যাঙ ও বিছা কি কখনও বন্ধু হতে পারে?', প্রশ্ন করছে 'ডার্লিংস'!
ওড়িশার দাবি, এই কাই চাটনি শরীরের পক্ষেও খুবই উপকারী। এতে রয়েছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন বি১২, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, কপার, ফাইবার এবং ১৮ রকমের অ্যাসিড। জিভে জল আনা এই পিঁপড়ের চাটনি খেলে বাড়বে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। এমনই মনে করেন ময়ূরভঞ্জের আদিবাসীরা।