উঝ নদীর তীরে অবস্থিত চিল্লা গ্রামের সঙ্গে বহুদিন ধরেই রাস্তা ও সেতুর যোগাযোগ ছিন্ন। নদীর তাণ্ডবে সেতু ভেঙে পড়ায় এবং কাদা ও ধ্বংসস্তূপ জমে যাওয়ায় প্রচলিত রাস্তায় যাওয়া সম্ভব হয়নি। প্রায় ২০ দিন ধরে ১৬টি পরিবার বাইরের জগতের সঙ্গে সংযোগ হারিয়ে বিপদসঙ্কুল অবস্থায় দিন কাটাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের অনুরোধে সেনার গুর্জ ডিভিশন তৎপর হয় এবং বিশেষ ড্রোনের মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
advertisement
৭ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে নদীর পশ্চিম পাড়ের প্লাল গ্রাম থেকে সেনারা ড্রোন চালিয়ে খাদ্যসামগ্রী পাঠানো শুরু করে। প্রথম দিন রাত পর্যন্ত ১৫০ কেজি চাল, ডাল, লবণ, চিনি, তেল এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী পৌঁছানো হয়। পরের দিন সকালে ফের অভিযান শুরু হয় এবং আরও ১৫০ কেজি সরঞ্জাম পাঠানো হয়। সব মিলিয়ে ৩০০ কেজি খাদ্য ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছায় দুর্গত গ্রামে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ত্রাণসামগ্রী হাতে পেয়ে স্বস্তি ও কৃতজ্ঞতায় ভরে ওঠেন গ্রামের মানুষ।
আরও পড়ুন– উত্তরবঙ্গে দুর্যোগ চলবে ! কলকাতা-সহ দক্ষিণে বৃষ্টির বিরতি কত দিনের? জেনে নিন
ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, বন্যার পর থেকে রাইজিং স্টার কর্পসের সেনারা সমগ্র অঞ্চলে ব্যাপক ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। জলবন্দি মানুষকে উদ্ধারের পাশাপাশি গ্রামে গ্রামে খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন, এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট পুনর্গঠনের কাজেও সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে সেনারা। মাঠে এখনও একাধিক কলাম মোতায়েন রয়েছে, যাতে নতুন কোনও বিপর্যয় দেখা দিলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
চিল্লা গ্রামে ড্রোনের মাধ্যমে খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছানো শুধু দুর্গতদের জীবনরক্ষাই নয়, তাদের মনে নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছে। জম্মুর আকাশে তাই এবার ড্রোন মানে ভয়ের প্রতীক নয়, বরং সহায়তা ও মানবিকতার বার্তা।