শুধু তাই নয়, সংস্কৃতি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, হাওয়া কমতেই মাঝরাতে তা ফের জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এদেশে শুধু নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও এই নিয়ম মানা হয়ে থাকে। এমনই যুক্তি সংস্কৃতি মন্ত্রকের ওই সূত্রের। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ইন্ডিয়া গেটের সামনে পৌঁছান তৃণমূলের ছয় সাংসদ, সৌগত রায়, জহর সরকার, সুখেন্দুশেখর রায়, শান্তা ছেত্রী, নাদিমুল হক এবং মৌসম বেনজির নুর। হাতে পোস্টারে লেখা, "নেতাজিকে অন্ধকারে রাখবেন না"।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার কি হাইব্রিড মোডে চলবে রাজ্যের স্কুলগুলি? সব নজর সোমবার সকাল সাড়ে দশটায়
হলোগ্রাম মূর্তিটি দেখভালের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, "নেতাজি এখন আর নেই। মূর্তিটি ছিল স্যালুট করা নেতাজি। তা নিয়েও সমালোচনা হয়। কাকে স্যালুট করছেন নেতাজি, মোদিকে?" তৃণমূল সাংসদদের আরও বক্তব্য, তাঁরা আসার খবর পেয়েই তরিঘরি নেতাজির মূর্তি ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন: ভিতরে ভর্তি যাত্রী, ধর্মতলার মোড়ে এসেই উল্টে গেল বাস! হাড়হিম ভিডিও প্রকাশ্যে
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হলোগ্রাম মূর্তিটি তৈরি করেছিলেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ ওড়িশার এক শিল্পী। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সাংসদরা সন্দেহ প্রকাশ করেন নেজাজির গ্রানাইটের মূর্তিটি কত ভাল তৈরি করা হবে, তা নিয়েও। সারা দেশে এত নামী শিল্পীরা থাকলেও কেন নিজেদের দলের (বিজেপি) ঘনিষ্ঠ শিল্পীকে দিয়ে নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি তৈরি করা হল সে প্রশ্ন তোলে তৃণমূল। নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি এবং সেই জায়গাটি খতিয়ে দেখার পর তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ সৌগত রায় বলেন, "বেশি হাওয়ায় মূর্তিটি উড়ে গিয়েছে। তার কারণ, মূর্তিটির উপর কোনও আচ্ছাদন ছিল না। এখানে নেতাজির কোনও মূর্তি নেই। হলোগ্রাম মূর্তির মতো নেতাজির প্রতি বিজেপির সমর্থনও উবে গিয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় স্বাধীনতা সংগ্রামী, বীর সৈনিক। তাঁকে নিয়ে দেশের মানুষের সঙ্গে তঞ্চকতা, প্রবঞ্চনা করা হয়েছে।"